টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি খারাপ উত্তর ঝাড়খণ্ড এবং আশেপাশের এলাকায় নিম্নচাপ। এর ফলে নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে গিয়ে বহু জায়গায় প্লাবন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁকুড়ায় গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী ও কংসাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বহু জায়গায় জলমগ্ন হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ভাতার বাজার-সহ সংলগ্ন এলাকায় জলস্রোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরে ভাগীরথী নদীর জল ঢুকে শহরের নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে।
বীরভূমের সিউড়ি, নানুর ও লাভপুরের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে। মহেশাপুর গ্রামে ধসে পড়েছে রাস্তা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ঝুমি নদীতে ক্রমশ জল বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঁকো ভেঙে পড়েছে। এর ফলে কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
হুগলির ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া ও দাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দাদপুরে রাস্তায় ধানগাছ রোপণ করে বিরোধী বিজেপি প্রতিবাদ জানিয়েছে। আসানসোলের শিল্পাঞ্চলেও প্লাবনের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
টানা বৃষ্টির ফলে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, বসন্তপুর ও সিলুটের রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। নবদ্বীপ, শান্তিপুর, রানাঘাট, চাকদহ এবং কল্যাণীর কিছু ওয়ার্ডেও জল জমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।