scorecardresearch
 

Kharagpur Suicide: খড়গপুর IIT-র কোয়ার্টার্সে রাজ্যের মন্ত্রীর ভাগ্নির ঝুলন্ত দেহ

রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটল আইআইটি খড়গপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের। যিনি আবার সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নি। খবর পেয়েই ভাগ্নিকে দেখতে ছোটেন মন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই এই চরম পরিণতি বেছে নিয়েছেন ওই তরুণী চিকিৎসক।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটল আইআইটি খড়গপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের
  • যিনি আবার সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নি

রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটল  আইআইটি খড়গপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের। যিনি আবার সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী  সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নি। খবর পেয়েই ভাগ্নিকে দেখতে ছোটেন মন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই এই চরম পরিণতি বেছে নিয়েছেন ওই তরুণী চিকিৎসক। 

জানা যাচ্ছে তরুণীর নাম স্বাগতা ভট্টাচার্য। আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) আবাসনে মা-কে নিয়েই থাকতেন তিনি। বুধবার সকালেও মা'কে কিছু বুঝতে দেননি তরুণী চিকিৎসক। মাকে বাজারে পাঠিয়ে, ফাঁকা বাড়িতে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন আইটি খড়গপুরের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি  হাসপাতালের প্যাথলজি (Pathology) বিভাগের চিকিৎসক ডক্টর স্বাগতা ভট্টাচার্য (৩৬)।

 জানা যাচ্ছে, বাজার থেকে ফিরে তাঁর মা  ঘরের  সামনে বারবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু, কোন সাড়া না মেলায়, আবাসনের (কোয়ার্টারের) অন্যান্যদের জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। দ্রুত খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ এসে ঘরে ঢুকে স্বাগতা'র ঝুলন্ত  দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে যে ডঃ স্বাগতা ভট্টাচার্য, সম্পর্কে রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক ডঃ সৌমেন কুমার মহাপাত্রের ভাগ্নি। স্বাগতা'র বাড়ি তমলুকে বলেই জানা গেছে। বাবা ভবানী ভট্টাচার্যও পেশায় একজন চিকিৎসক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকমাস হল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মাস পাঁচেক হল তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। তাই, মা-কে নিয়ে খড়্গপুরের প্রেমবাজারে আইআইটি'র আবাসনে থাকতেন। সেখানেই, তাঁদের বি.আর- ফ্ল্যাট নং- ৯ থেকে বুধবার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। 

বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল স্বাগতার। দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। মাস ছয়েক আগে বদলি হয়ে আসেন খড়গপুরে সদ্য তৈরি হওয়া শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। খবর পেয়ে  হাসপাতালে আসেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভাগ্নির মানসিক অবসাদের কথা নিজেই জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, , “মানসিক অবসাদ ছিল। তবে এরকম হবে ভাবিনি।” পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আইআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন মন্ত্রী।

Advertisement

Advertisement