মহাকাশে ফের নতুন গ্রহের সন্ধান পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার ট্রানসিট এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট মিশনে এই সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের বাইরে এই নতুন অতিথির তথ্য সন্ধানে এখন ব্যস্ত বিজ্ঞানীদের দল। জানা যাচ্ছে নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটির সঙ্গে মিল রয়েছে আমাদের পৃথিবীর। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহকে বলছে সুপার আর্থ (Super Earth)।
JUST IN: One of the first confirmed rocky exoplanets found in the thick disk of the Milky Way, announced at #aas237. Congrats to Lauren Weiss of @UHIfA & her team! https://t.co/czMRITurfl pic.twitter.com/nM4mLUVJWP
— W. M. Keck Observatory (@keckobservatory) January 11, 2021
এই গ্রহের বিশেষত্ব কী?
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে এই গ্রহে তাপ এবং শিলা রয়েছে। গ্রহটি আকারে পৃথিবীর থেকে ৫০ শতাংশ বেশই বড়। সোমবার আমেরিকার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির (American Astronomical Society)বৈঠকে এই গ্রহের বিষয়ে জানানো হয়। পৃথিবীর সাথে মিল থাকা এই গ্রহটির নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন TOI-561b। জানা যাচ্ছে আকারে বড় হওয়ার পাশাপাশি গ্রহটি পৃথিবীর থেকে তিনগুণ ভারী। তারপরেও এর গতি অবশ্য পৃথিবীর থেকে বেশি। এই গ্রহ নিজস্ব নক্ষত্রকে একরাউন্ড প্রদক্ষিণ করতে আধা দিন সময় লাগায়। তবে এর তাপমাত্রা নাকি সবসময় ২০০০ কেলভিন থাকে।
প্রাণের সম্ভাবনা
নাসা আবিষ্কৃ এই সুপার আর্থে লোহা ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। গবেষকরা বলেছেন যে গ্রহের ভর, ঘনত্ব এবং ব্যাসার্ধটি হাওয়াইয়ের WM কেক অবজারভেটরির সহায়তায় আবিষ্কার করা হয়েছে। এর বিশাল ভর থাকা সত্ত্বেও এর ঘনত্বটি আমাদের পৃথিবীর সমান, যা অবাক করে দিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের।
সুপার আর্থের বয়স ১০ বিলিয়ন। এই গ্রহে জীবন থাকার সম্ভাবনা কতটা তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মত বিজ্ঞানীদের। তবে প্রাথমিক গবেষণায় এটির সঙ্গে পৃথিবীর অনেক সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
সুপার আর্থকে পৃথিবীর মতো পাথুরে দেখালেও র তাপমাত্রা অনেক বেশি। এই বিষয়ে, প্রধান গবেষক রেন ওয়েইস বলেছেন যে গ্রহটি এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত পাথুরে গ্রহের মধ্যে প্রাচীনতম। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন আমাদের ছায়াপথটি ১২ বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছিল এবং 'সুপার আর্থ' গঠিত হয়েছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন বছর আগে। আর আমাদের প্রধান নক্ষত্র সূর্য নিজেই সেখান ৪.৫ মিলিয়ন বছর পুরনো।