scorecardresearch
 

সাত সকালে পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, মৃত ৯, ৩ যুদ্ধবিমানে আগুন

এর মধ্যে জঙ্গিরা সবার আগে এয়ারবেসে উপস্থিত তিনটি ফাইটার বিমানে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং পাশে রাখা ফিউল ট্যাঙ্কের কারণে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। জঙ্গিদের মধ্যে কিছু আত্মঘাতী জঙ্গি শামিল ছিল। পাকিস্তানি সেনা আপাতত গোটা এলাকার খালি করে ঘেরাটোপের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে । এই ঘটনা তখন ঘটে যখন বালুচিস্থান এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন সেনা কর্মী মারা গিয়েছে।

Advertisement
সাত সকালে পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, মৃত ৯, ৩ যুদ্ধবিমানে আগুন সাত সকালে পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, মৃত ৯, ৩ যুদ্ধবিমানে আগুন

পাকিস্তানের শনিবার সাতসসকালে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ভোরবেলায় অন্ধকারে মধ্যে, এই হামলার ঘটনা ঘটে। এয়ারবেসের আশপাশের বাসিন্দাদের সকাল সকাল গুলির আওয়াজ এবং বিস্ফোরণের ধামাকা আওয়াজ শুনে ঘুম উড়ে যায়। তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। জানা যায় যে এয়ারবেসের উপর জঙ্গি হামলা হয়েছে। দ্রুত সমস্ত এলাকা গুলির আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে। ভিতর থেকে আগুনের শিখা দেখতে পাওয়া যায়। পাকিস্তানি সেনা তৎকাল মোর্চা সামলায় এবং তিন জঙ্গিকে পাল্টা গুলিতে মেরে ফেলে। এরপর লাগাতার অপারেশন চলে এবং নয় জন জঙ্গি মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিল জঙ্গিরা

জঙ্গিরা এয়ারবেসকে ভালো করে রেকি করেছিল এবং তাদের জানা ছিল যে কীভাবে ভেতরে ঢুকে হামলা করা সম্ভব। সবার আগে তারা হামলা করার জন্য সকালের সময় বেছে নেয় এবং এয়ারবেসের ভিতরে ঢোকে। এজন্য তারা চার দেওয়ালের একটা দিকে সিঁড়ি লাগিয়ে ওপরে ওঠে এবং তারকাঁটা কেটে ভেতরে ঢোকে। ভেতরে ঢুকতেই জঙ্গিরা আলাদা আলাদা দিকে চলে যায় এবং ফায়ারিং শুরু করে দেয়। উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেয় এবং দুজন জঙ্গিকে কিছুক্ষণ পরেই তারা নিকেশ করে দেয়। এরপরে আরও ছয়জনকে গুলি করে মারা হয়।

ফাইটার বিমানে আগুন লাগানো হয়

এর মধ্যে জঙ্গিরা সবার আগে এয়ারবেসে উপস্থিত তিনটি ফাইটার বিমানে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং পাশে রাখা ফিউল ট্যাঙ্কের কারণে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। জঙ্গিদের মধ্যে কিছু আত্মঘাতী জঙ্গি শামিল ছিল। পাকিস্তানি সেনা আপাতত গোটা এলাকার খালি করে ঘেরাটোপের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে । এই ঘটনা তখন ঘটে যখন বালুচিস্থান এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন সেনা কর্মী মারা গিয়েছে।

তেহরিক-ই-জিহাদ (পাকিস্তানি টি জে পি) এই জঙ্গি হামলার দায়িত্ব নিয়েছে

Advertisement

টিজেপির প্রবক্তা মোল্লা মোহাম্মদ কাসিম মিয়াবলি এয়ারবেসে হওয়া হামলায় দায় স্বীকার করে জানিয়েছে যে এই হামলায় কয়েকজন আত্মঘাতী জঙ্গি শামিল ছিল। নিজেদের গঠনের পর বিজেপি সবার আগে পাকিস্তান আফগানিস্তান এর কাছে দুজন পাকিস্তানি সেনাকর্মীকে খুন করে। এরপরই তারা নিজেদের সংগঠন চমন বোলান সোয়াত ক্ষেত্রে কেবল একাধিক খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

কারা এই তেহরিক-ই-জিহাদ?

তেহরিক-ই-জিহাদ গঠন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করার জন্য করা হয়েছিল। যাদের উদ্দেশ্য হল দেশকে একটি ইসলামিক স্টেটে পরিণত করা। বলা হয় যে তেহরিক-ই-জিহাদের সম্পর্ক তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান বা আল-কায়েদা ইত্যাদির সঙ্গে হতে পারে। তেহরিক-ই-জিহাদ আফগানিস্তানের তালিবানদের বানানো শরিয়া আইন সমর্থন করে। এই সংগঠনটি মনে করে সশস্ত্র জিহাদ ছাড়া পাকিস্তানি ইসলামি ব্যবস্থায় লাভ করা সম্ভব নয়। এই উদ্দেশ্য প্রাপ্তির জন্য আপাতত প্রচুর আত্মঘাতী হামলাকারী প্রচুর মুজাহিদিন নিজেদের আত্ম বলিদান দিতে সংগঠনের নাম লিখিয়েছে।

পাকিস্তান বয়ান জারি করে জানিয়েছে

আমাদের সেনা-অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সময় মত জঙ্গি হামলা রুখে দিয়েছে যার মধ্যে ৩ জঙ্গি এয়ারবাসে এন্ট্রি করেছিল, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে কয়েকটি বিমান ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান সমস্ত রকম জঙ্গিবাদকে শেষ করতে বদ্ধপরিকর।

Advertisement