লক্ষ্য একটাই যাঁরা হোটেলে আসবেন, তাঁরা যেন একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারেন। তাই শান্তির ঘুম উপহার দেওয়ার জন্য পরিত্যক্ত খনিতে ঘর তৈরি করে হোটেল বানানো হয়েছে। যে হোটেলে যেতে গেলে আপনাকে নামতে হবে 1 হাজার 375 ফুট। এখানে একবার এলে কোনও আওয়াজ আপনার কানে কোনও আওয়াজ পৌঁছাবে না। আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। এই আজব হোটেলে রয়েছে মোট পাঁচটা ঘর। চারটে ঘরে রয়েছে আলাদা আলাদা বিছানা। তবে শেষ ঘরের আকারটা বেশ মজাদার। অনেকটা গুহার মতো। সেখানে রয়েছে একটি মাত্র বিছানা। তবে সেটা ডবল বেড। অর্থাৎ প্রিয় মানুষকে নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। কিন্তু এই হোটেলে আপনি দিনের পর দিন ঘর ভাড়া করে থাকতে পারবেন এমন যদি ভাবেন, তবে ভুল ভাববেন। সপ্তাহে মাত্র একদিনের জন্য আপনি ওই হোটেলে থাকতে পারবেন। অর্থাৎ এই হোটেলে গেলে শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত ঘুমাতে পারবেন। তবে একদিনের জন্য থাকতে গেলেও আপনাকে দিতে হবে অনেকগুলো টাকা। ঘর ভাড়া 350 পাউন্ড। একটু হিসাব করলে সেটা ভারতীয় মুদ্রায় হবে 36 হাজার টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে গুহার মতো ঘরে থাকতে গেলে আপনাকে দিতে হবে 550 পাউন্ড। মানে ধরুন 56 হাজার টাকা। এই বছরে এপ্রিল মাসে ওয়েলসে চালু হয় THE DEEP SLEEP HOTEL। শুরুর দিন থেকে অতিথিরা সেখানে ঘুমানোর জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। অতিথিদের সঙ্গে একজন করে গাইডও থাকেন। ওই গাইড আগে গুহার ইতিহাস বলবেন। তারপর ঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। গুহাতে ঢুকলেই আপনি পাবেন একটা ইস্পাতের দরজা। যার মধ্যে দিয়ে আপনাকে ভিতরে ঢুকতে হবে। এই হোটেলে রয়েছে একটি ডাইনিং রুমও। সেখানে খাওয়াদাওয়া শেষ করে আপনারা পৌঁছে যাবেন শান্তির ঘুমের দেশের। রবিবার সকাল 8 টা নাগাদ আপনাকে ঘুম থেকে তুলে দেবেন কর্মীরা। এরপর আপনাকে নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। তবে পরিত্যক্ত খনি হওয়ায় এখানে নিরাপত্তার দিকটা বিশেষ করে খেয়াল রাখা হয়। কী ভাবছেন যাবেন নাকি ওই হোটেলে ঘুমাতে।
World’s deepest hotel lets guest sleep in underground mine in UK.