24 DECEMBER 2021
শীতকালে ঠান্ডা লেগে যাওয়া, কাশি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে ঘটনা হল ঘরোয়া কিছু উপায়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখা যায় দিব্যি।
খুব সহজেই এগুলো পাওয়া যায় বা বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যায়। এমনই জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা।
মেডিক্যাল অফিসার চান্দ্রেয়ী রায় জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঈষৎদুষ্ণ গরমজলে ২-৩টি লবঙ্গ ফেলে ১০ মিনিট রেখে ওই গরম জল ১-২ গ্লাস মাত্রায় খলি পেটে পান করতে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
পিপুল ফল, বামুনহাটি পাতা,কাঁকড়া শৃঙ্গীর ফল এবং মুথার কল্ক তৈরি করে গুড়-সহ চেটে খেলে এলার্জিক কাশিতে পরম ওষুধ।
করোনা কালে হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক নামটির সঙ্গে সবাই সুপরিচিত হয়েছি।
এই হলুদ গুঁড়ো মিশ্রিত দুধ ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে সকালে বা সন্ধেয় এক গ্লাস করে খেলে নাক ও চোখ থেকে জল ঝরা, সর্দির জন্য মাথা ভার হওয়া ইত্যাদি দ্রুত উপশম হয়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হরিদ্রা খন্ড নামে একটি প্রাচীন ওষুধ সমস্ত সরকারি আয়ুর্বেদিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে দেওয়া হয়।
শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ- সকলকে হাঁচি কাশির ও অ্যালার্জির সমস্যায় উপশম দেওয়ার জন্য তা দেওয়া হয়।
যেটি গরম দুধে গুলে, দুধে অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে শুধু গরম জলে গুলে, সকাল-সন্ধেয় খেতে দেওয়া হয়।
হরিতকি, বহেরা, পিপুল ফল, কিসমিস- এদের চূর্ণ এক চামচ ঘি অথবা মধু দিয়ে চেটে খেলে শীতের সকালগুলোতে যারা শ্বাসকষ্ট ও শুকনো কাশিতে ভোগেন, যথেষ্ট উপকার পাবেন।
এগুলো সর্দি কাশি, হাঁচি ও শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা জনিত উপসর্গে রোগীদের দেওয়া হয়।