BY: Aajtak Bangla  9 November  2022 BY: Aajtak Bangla 

জোড়া কলা খেলে হয় যমজ সন্তান! সত্যিটা কী?

প্রচলিত একটি ধারণা আছে জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান লাভ হয়। 

অজস্র পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে।

তাই মহিলাদের জোড়া কলা খেতে নিষেধ করেন বাড়ির মা, দিদিমারা। তবে সত্যিই কি এর কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে নাকি পুরোপুরিই কুসংস্কার?


যমজ দু'ধরনের হয়- আইডেন্টিক্যাল এবং নন-আইডেন্টিক্যাল। ডাক্তারি ভাষায় এদের বলা হয় মনোজাইগোটিক এবং ডাইজাইগোটিক। 

সাধারণত, একজন মহিলার শরীরে একটি ডিম্বাণু থাকে, যা একটি শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি ভ্রূণ তৈরি করে। কিন্তু এই নিষিক্তকরণে অনেক সময় একটি নয়, দু'টি সন্তান তৈরি হয়।

যেহেতু এই নিষেকটি একই ডিম থেকে প্রস্তুত হয়, তাই তাদের প্লাসেন্টাও একই। এই পর্যায়ে হলে দু'টি ছেলে বা দু'টি মেয়ে হয়। 

তারা সাধারণত দেখতে একই রকম এবং তাদের ডিএনএও একে অপরের সঙ্গে খুব মেলে। 

যদিও তাদের আঙুলের ছাপ আলাদা হয়। এই ধরনের শিশুদের মনোজাইগোটিক যমজ বলা হয়।

তবে কখনও কখনও এমনও হয় যে মহিলার শরীরে একসঙ্গে দু'টি ডিম্বাণু তৈরি হয়, যা নিষিক্ত হওয়ার জন্য দু'টি শুক্রাণুর প্রয়োজন হয়।

এতে দু'টি পৃথক ভ্রূণ প্রস্তুত হয়। এই অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুদের নিজস্ব প্লাসেন্টা থাকে। এর মধ্যে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে হতে পারে। একে বলা হয় ডাইজাইগোটিক।

তবে জোড়া কলা, জোড়া পেঁয়াজ, জোড়া আলু কোনও খাবার খেলেই যমজ সন্তান হয় না।

এরকম আরও
স্টোরি চাই?

Read More
Twin Banana Myth: প্রচলিত একটি ধারণা আছে জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান লাভ হয়। তাই মহিলাদের জোড়া কলা খেতে নিষেধ করেন বাড়ির মা, দিদিমারা। তবে সত্যিই কি এর কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে নাকি পুরোপুরিই কুসংস্কার? যমজ দু'ধরনের হয়- আইডেন্টিক্যাল এবং নন-আইডেন্টিক্যাল। ডাক্তারি ভাষায় এদের বলা হয় মনোজাইগোটিক এবং ডাইজাইগোটিক।