
ঋত্বিক চক্রবর্তীর পোস্ট ভাইরালশীতকালীন অধিবেশনে 'বন্দে মাতরম'-এর ১৫- বছর পূর্তি আলোচনার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্বোধন নিয়ে বিতর্ক। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বঙ্কিমদা বলে ডেকে ওঠেন মোদী। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের বেঞ্চ থেকে ওঠে আপত্তি। তার পরে যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য তাঁর কানে পৌঁছতে ভুল সংশোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তবু থামছে না বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে একের পর এক মিম। আর সেই জোয়ারে গা ভাসিয়ে অভিনেতা ঋত্ত্বিক চক্রবর্তীও পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না।
রাজ্য-রাজনীতি অথবা সমাজে হয়ে যাওয়া কোনও ঘটনা নিয়ে বরাবরই সরব হয়েছেন এই অভিনেতা। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে তাঁকে কোনওদিন সরব হতে দেখা না গেলেও মাঝে মধ্যেই ঋত্বিক তাঁর মজার পোস্টের মাধ্যমে সাম্প্রতিক কালের ঘটনাগুলিকে তুলে ধরতে পিছু পা হন না। ইন্ডাস্ট্রিতে এই নিয়ে তাঁর সুনাম ও বদনাম দুই রয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও সেরকমই একটি পোস্ট করলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। আর সেই পোস্ট কার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তা বুঝতে কারোর বাকি নেই।

ঋত্বিক একটি নীল রঙের কার্ড শেয়ার করেছেন। যার ওপরে লেখা, নেরুকে তার ভাইরৈ নিশ্চয়ই নেরুদা বলে ডাকে, দেরিকে দেরিদা, ফেলুকে ফলুদা, তা বলে বঙ্কিম কে!!? এরপর অভিনেতা আরও লেখেন, আবোকে শুনেছি আবোদা বলে ডাকতে নেই। পুনশ্চ:-আমরা সবাই জানি বঙ্কুবাবুর বন্ধু ছিল এলিয়ান। নন-বায়োলজিকাল কিনা জানা নেই। অভিনেতা এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, যত্তসব। ঋত্বিকের এই পোস্টে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন সকলেই।
বরাবরই নিজের চিন্তাভাবনা মেদহীন মেজাজে, সপাটে পেশ করেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। সে কথায় হোক অথবা ফেসবুকের পাতায়। কোনও আলগা আভিজাত্য তাঁকে যে একেবারেই আকর্ষণ করে না, তাও স্পষ্ট ঋত্বিকের জীবন বাঁচার ধরন দেখে। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায় তিনি কতটা সহজ, নির্ভেজাল ভাবে জীবনটাকে উপভোগ করেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক শ্লেষও মাঝেমধ্যে দিব্যি ফুটে ওঠে তাঁর নানান পোস্টে এবং তা সবই সুচারুভাবে। সম্প্রতি তাঁর রান্নাবাটি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। আর বলার অপেক্ষা রাখে না সেখানে তাঁর অভিনয় ফের প্রশংসিত।