দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এই সময়ে পুজোর শপিং করতে ভিড় বাড়বে এসপ্ল্যানেড, গড়িয়াহাট, হাতিবাগানে থাকবে পুজোর মার্কেটিংয়ের ভিড়। বিশেষত, শনিবার ও রবিবার পুজোর কেনাকাটা করতে দূর দূর থেকেও আসেন ক্রেতারা। তাদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত মেট্রো চালানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্য জনসংযোগ অফিসার কৌশিক মিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'সামাজিক বয়কট' করবেন বলে ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে জারি করা ভিডিওবার্তায় রাজ্যপাল বলেন,'আমি সংকল্প নিচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কট করব। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও সর্বজনীন মঞ্চে থাকব না। এমন কোনও কর্মসূচিতে থাকব না, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন'। তিনি জানান,'রাজ্যপাল হিসেবে শুধু সাংবিধানিক কর্তব্যই পালন করব। তার একটু বেশিও নয়, কমও নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেবল ঔপচারিক সম্পর্কই থাকবে'।
জুনিয়র ডাক্তাররা গত ৩২ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। এই সময়ের মধ্যে ২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৭ লাখ মানুষ পরিষেবা পাননি। অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের পরিষেবা সচল করারও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আলোচনার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। এরপরও আলোচনা চাইলে আধিকারিকরা করবে।'
আজ নিয়ে তিনি তিনদিন ধরে অপেক্ষা করেছেন। তারপরও জুনিয়র ডাক্তাররা এলেন না। অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মিটিং ডেকে যাঁরা এলেন না, গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেন তাঁদের তিনি ক্ষমা করে দিলেন।
লাইভ সম্প্রচার না হওয়ায় হল না জুনিয়র চিকিৎসক-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চেয়ার ছাড়তে রাজি' মন্তব্যে চিকিৎসকরা দাবি করে বলেন, "আমাদের কোনও স্বার্থ জড়িয়ে নেই, মুখ্যমন্ত্রী বলেন দরকার হলে আমার চেয়ার দিতে পারি। কিন্তু আমরা চেয়ারের দাবিতে আসিনি। আমরা হতাশ!"
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি মানা হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেন না আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,'জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই আলোচনার জন্য রাজি ছিলেন না। বাইরে থেকে ২-৩ জনকে ফোন করে বলা হচ্ছিল, বৈঠকে যাবেন না। ওরা সুবিচার চায় না, চেয়ার চায়'। এরপরই মমতা জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তেও রাজি।
কেষ্টপুরের মাস্টারদা স্মৃতিসংঘের এবারের পুজোর থিম 'সভ্যতার রক্ষাকবচ'। এবার ৭২ তম বর্ষে পড়ছে এই পুজো। শিল্পী মানস রায়ের হাত ধরে সেজে উঠছে থিম। নতুন প্রজন্ম মোবাইলে আসক্ত। বই পড়ার অভ্যাস কমছে। সে কথাই উঠে আসবে এই থিমে। যার বার্তা, বই পড়ুন। মণ্ডপসজ্জায় থাকছে বই। দেখা যাবে বিশাল মানবমুখ মৌচাকের আদলে, যা জ্ঞানের ভান্ডার।
পৌনে পাঁচটা থেকে ৭টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করছি। আমরা বলেছিলাম, খোলামনে আলোচনা করুন।কথা বললে সমাধান হয়'। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
RG কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Doctor Death Protest) বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। তাদের এই অভিযান আটকানোর জন্য ধর্মতলায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে। সেখানে গেরুয়া শিবিরের মিছিল আটকে যাওয়ার পরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
রাজ্য ও জুনিয়র ডাক্তারদের টানাপোড়নের মাঝে, এবার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়র ডাক্তাররা। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যকে কড়া বার্তা দিয়ে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, ‘যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।’ পাশাপাশি তাঁরা জানিয়ে দেন, ‘আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে সর্বদা আছি। আগামী দিনে এই ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
যাত্রীদের সুবিধার্থে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান রুটের সময়সূচিতে বড় পরিবর্তন আনল কোলকাতা মেট্রো। এতদিন সোম থেকে শনি পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ মিনিট অন্তর মেট্রো চলাচল করতো।