মর্গের ভিতর থেকে চোখ চুরি গিয়েছে মৃত যুবকের। সেই অভিযোগে যশোর রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশে সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা সেটাই মাপকাঠি ২০২৫-এর SIR-এর ক্ষেত্রে। অনেক ভোটারই অভিযোগ করেছেন তাঁদের বা পরিবারের কোনও সদস্যের নামই নাকি নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়।
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ার কাজের চাপ ঘিরে একের পর এক অভিযোগের মাঝে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উঠে এল আরও ভয়াবহ দৃশ্য। হুগলি জেলার বুথ লেভেল অফিসার (BLO) সুমিতা মুখোপাধ্যায় কাজের চাপে, অসহায়তা থেকে এবং অনবরত সার্ভার ব্যর্থতায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রাজ্যে SIR ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এসআইআর এর কাজ শুরু হতেই, তার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার সেই ইস্যুতেই ফের সুর চড়ালেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বনগাঁয় সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বুক করা হেলিকপ্টারের উড়ান। তারপর সড়কপথেই রওনা দেয় তাঁর কনভয়। দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হয় সভা। আর সেই সভাতে হেলিকপ্টার বাতিলকে কেন্দ্র করেই বিরোধীদের বিঁধলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই তাঁর হেলিকপ্টার বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'সাত-আট মাস হেলিকপ্টার নিই না। আজ এখানে এসে ঠাকুরনগর যাওয়ার পরিকল্পনা। তাই আগেই বুক করা হয়েছিল। কিন্তু সকাল ১০টায় খবর এল. হেলিকপ্টার যাবে না!'
SIR-এর কাজ করতে গিয়ে অনেক BLO-র মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ অসুস্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার জানান, 'কোনও কোনও BLO অসুস্থ হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে জেলাশাসকরা সাহায্য করবেন। কেউ যদি SIR-এর কারণে মারা যান তাহলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পুলিশ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আজই চারজন ডিএম তাঁদের রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারপরই সব দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা হবে না।'
পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় ২০ নভেম্বর ২০২৫ পুলিশ কল্যাণ কমিটির নামে অনুষ্ঠিত ‘মহিলা পুলিশ কর্মীদের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলন’ নিয়ে এই অভিযোগের সূত্রপাত।
Bank Holiday In December: বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর, আর এই মাসেই সবচেয়ে বেশি ছুটি থাকবে ব্যাঙ্কে। এই ছুটির মধ্যে একটি জাতীয় ছুটির দিন এবং বাকিগুলি আঞ্চলিক ছুটির দিন। এই আঞ্চলিক ছুটির সময়, উত্তর-পূর্বে সর্বাধিক সংখ্যক দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। ছুটির সম্পূর্ণ তালিকাটি একবার দেখে নেওয়া যাক।
সোমবার দুপুরে থেকে ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের কয়েক জন দেখা করেন অতিরিক্ত সিইও-র সঙ্গেও। বিক্ষোভকারী দাবি ছিল, কাজের চাপ কমাতে হবে। মৃতদের দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। অসুস্থদের বাদ দিতে হবে বিএলও তালিকা থেকে। নিয়োগ করতে হবে প্রযুক্তি সহায়তা কর্মীদের। এমন ১০ দফা দাবি তাঁরা জানান। এই অবস্থান চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। সিইও দফতরের সামনেই স্লোগান চড়ান বিএলও-দের একাংশ। সোমবারের এই প্রতিবাদের কারণের মধ্যরাত পর্যন্ত নিজের দফতরেই আটকে থাকতে হয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে।
সকাল ও রাতে শীতের অনুভূতি টের পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যেই চলতি মরশুমে প্রথমবার ১৬ ডিগ্রির ঘরে নামল কলকাতার পারদ। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৯ ডিগ্রি কম। শুধু কলকাতাই নয় জেলাগুলিতেও তাপমাত্রাও ঘোরাফেরা করছে ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি সোলসিয়াসের ঘরে। তবে হাওয়া অফিসের মতে, জাঁকিয়ে শীত পড়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। আর এসবের মধ্যেই ফের বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা এখন প্রবল।
সোমবার দুপুরে থেকে ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের কয়েক জন দেখা করেন অতিরিক্ত সিইও-র সঙ্গেও। বিক্ষোভকারী দাবি ছিল, কাজের চাপ কমাতে হবে। মৃতদের দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। অসুস্থদের বাদ দিতে হবে বিএলও তালিকা থেকে। নিয়োগ করতে হবে প্রযুক্তি সহায়তা কর্মীদের। এমন ১০ দফা দাবি তাঁরা জানান। এই অবস্থান চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত।