RG Kar Case: '৪ মাস হয়ে গেল...',ফেসবুক পেজ খুলে হিন্দিতে বার্তা নির্যাতিতার মা-বাবার

'ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস: ভয়েস অফ আরজি কর ভিক্টিম' নামে ফেসবুক পেজ খুলেছেন নির্যাতিতা ডাক্তার বাবা-মা।

Advertisement
'৪ মাস হয়ে গেল...',ফেসবুক পেজ খুলে হিন্দিতে বার্তা নির্যাতিতার মা-বাবারআরজি কর-কাণ্ড

আরজি করে তরুণী ডাক্তার খুন ও ধর্ষণে সুবিচার চেয়ে ফেসবুক পেজ খুললেন বাবা এবং মা। ওই ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেছেন। সেখানে সুবিচার দাবি করেছেন। নির্যাতিতার বাবার দাবি, ৪ মাস কেটে গেলেও সুবিচার দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। সকল দেশবাসী পাশে দাঁড়ান।  

'ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস: ভয়েস অফ আরজি কর ভিক্টিম' নামে ফেসবুক পেজ খুলেছেন নির্যাতিতা ডাক্তার বাবা-মা। সেই পেজে ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন,'৩১ বছর ধরে নিজের পরিশ্রমে এত দূর পৌঁছেছিল আমার মেয়ে। ৯ অগাস্ট তাঁর সব স্বপ্ন ভেঙে দিল দুষ্কৃতীরা। সুবিচারের জন্য সারা দেশের কাছে আবেদন করছি'। 

কন্যাহারা বাবার আক্ষেপ,'৪ মাস হয়ে গেল। ওই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী হয়েছিল, এখনও জানি না। শুরুতে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল। তাতে গলদ দেখে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআই-কে। ৪ মাস কেটে গেলেও সুবিচার পাইনি। সকলে যেন সুবিচারের জন্য পাশে থাকেন আমাদের'। 

দিন কয়েক আগে বিধানসভায় গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন আরজি কর নির্যাতিতার মা-বাবা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সঙ্গে বিধানসভায় যান তাঁরা। দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। নির্যাতিতার বাবার চোখ মুছিয়ে দেন শুভেন্দু।

শুভেন্দুর সামনে নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন,'আরজি করে ময়নাতদন্ত করাব না বলেছিলাম। তখন এই করব, সেই করব বলে আরজি কর থেকেই করাল। টানা ২ ঘণ্টা বসে রইলাম মেয়ের দেহ পাওয়ার জন্য। এত হেনস্থা করেছিল! মেয়ের দাহ করার সময় পারলৌকিক কাজটুকু করতে পারিনি। তারপর ৩-৪ দিন ধরে যে অত্যাচার চলেছিল, সেটা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই। আমরা কাকে আইনজীবী রাখব, সেটাও পুলিশকে জানাতে হবে। আমাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা হয়েছিল'। সেই সময়ই নির্যাতিতার বাবার চোখের জল মুছিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement