অনেকই মুখের কালো দাগ নিয়ে চিন্তায় থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপারপিগমেন্টেশন বা কালো ব্রণের দাগ, অত্যধিক সূর্যের এক্সপোজার, দূষণ, সংক্রমণ, গর্ভাবস্থার পরে বা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। বাজারে ভিন্ন ধরণের ক্রিম এবং সেরাম পাওয়া যায়। তবে এই চিকিৎসা, বিকল্পগুলির ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে।
বাজার চলতি স্কিনকেয়ার ক্রিমগুলি ত্বকের জন্য ভাল নয়। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে যার ফলে মুখের কালো দাগ অর্থাৎ ডার্ক স্পট দূর করা সম্ভব। তবে গোটা মুখে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই একটি প্যাচ পরীক্ষা করুন, আপনার ত্বক সংবেদনশীল কিনা। প্রাকৃতিক উপাদানগুলি আপনাকে হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকের পুনর্নবীকরণকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করতে পারে। জানুন, কীভাবে মুখের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পিগমেন্টেশন দূর করার সমাধান
* একটি পাকা টমেটোর রস বের করুন। কয়েকটি তুলসী পাতার রস ছেঁকে, এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। এক টুকরো তুলোর সাহায্যে এই মিশ্রণটি ডার্ক স্পটে দিনে তিন থেকে চারবার লাগান। কিছু দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।
* লেবুর রস, গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখের দাগযুক্ত জায়গাগুলোতে এই পেস্টটি লাগান। আপনি কয়েক দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন। কিন্তু আপনার ত্বক শুষ্ক হলে, দিনে একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
* ত্বকের এই সমস্যায় বাদামের তেল লাগালেও উপকার পাওয়া যায়। বাদামের তেলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি একটি খুব কার্যকর প্রতিকার।
* কাঁচা হলুদ ব্যবহার করাও উপকারী। কাঁচা হলুদ ভাল করে পিষে নিন। এতে কিছু পরিমাণ ক্রিম যোগ করুন। দুটো জিনিসই ভাল ভাবে মিশে গেলে এই পেস্টটি ত্বকে লাগান।
* আপনি চাইলে লেবুর রস বা কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, বাদামের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণে কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান। আপনি কিছু দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।
এই প্রতিকারগুলির যে কোনও একটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। প্রথমে মুখে অল্প পরিমাণে লাগান এবং অল্প সময়ের জন্য রেখে দিন। যদি কোনও অস্বস্তি অনুভব না করেন, বেশি করে প্যস্ক লাগাতে পারে। তবে কোনও সমস্যা বোধ করলে, অবিলম্বে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন যে, আপনি যখন এই প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি ব্যবহার করছেন তখন ডার্ক স্পট কমানোর জন্য, চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব সরাসরি সূর্যের আলোতে না আসতে।