Relationship Tips: ভালবাসা থাকবে আজীবন, পার্টনারকে বশে রাখতে মেনে চলুন ৫ পরামর্শ

ভালবাসার নানা পর্যায়ে সবচেয়ে কঠিন ধাপ হল প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে তাঁকে ধরে রাখা। সম্পর্কে যেন ভালবাসার কমতি না হয়! ভালবাসা বাঁধন আলগা হলেই ঢুকে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি।

Advertisement
ভালবাসা থাকবে আজীবন, পার্টনারকে বশে রাখতে মেনে চলুন ৫ পরামর্শ    ভালবাসা বাঁচিয়ে রাখার ৫ পরামর্শ।
হাইলাইটস
  • ভালবাসার নানা পর্যায়ে সবচেয়ে কঠিন ধাপ হল প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে তাঁকে ধরে রাখা।
  • সম্পর্কে যেন ভালবাসার কমতি না হয়!
  • ভালবাসা বাঁধন আলগা হলেই ঢুকে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি।

প্রথমে পূর্বরাগ। প্রেম-প্রস্তাব। তার পর কাছাকাছি থাকা। ভালবাসার নানা পর্যায়ে সবচেয়ে কঠিন ধাপ হল প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে তাঁকে ধরে রাখা। সম্পর্কে যেন ভালবাসার কমতি না হয়! ভালবাসা বাঁধন আলগা হলেই ঢুকে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি। কীভাবে অফুরান ভালবাসা অটুট রাখবেন, রইল ৫টি পরামর্শ-         

সঙ্গীকে সময় দিন- সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটান। আজকাল ব্যস্তজীবনে সময়টাই দামি হয়ে উঠেছে। সকলেই বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। কাজের দিনে সময় প্রায় নেই বললেই চলে। আর তাই সময় আর দেওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু ব্যস্ততার ফাঁকেও সময় বের করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনার মাধ্যম হোক প্রযুক্তি। হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ করুন। জিজ্ঞেস করুন, আপনার প্রিয় মানুষ খেয়েছেন কিনা। সকালে একটি সুপ্রভাত, রাতে একটা শুভরাত্রি মেসেজ করুন। অফিস থেকে বেরোলে জিজ্ঞেস করুন, বাড়ি পৌঁছেছে কিনা। ছুটির দিন দেখা করুন। দেখা না হলেও সপ্তাহে অন্তত এক-দু'দিন ভিডিও কলে অনেকক্ষণ কথা বলুন।          
 
ভরসা রাখুন- ভালবাসায় সন্দেহ, হারানোর ভয় আসবেই। তবে সেটা যেন মাত্রাছাড়া না হয়। পরস্পরকে বিশ্বাস করতে শিখুন। অকারণে সন্দেহ করবেন না। সম্পর্ক সৎ থাকুন। তৃতীয় ব্যক্তির কথায় ভালবাসার মানুষের সঙ্গে ঝামেলা করবেন না। কখনও সঙ্গীকে ঠকাবেন না। অকারণে মিথ্যা বলা এড়িয়ে চলুন। মিথ্যা সন্দেহের জন্ম দেয়। একটা সম্পর্ককে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই সত্যি কথাটা বলে দিন। দেখবেন সম্পর্ক টিকে থাকবে। 

বিশাল প্রত্যাশা নয়- সিনেমা ও জীবনের অনেক ফারাক থাকে। এটা জেনে রাখুন। আপনার হৃতিক রোশনের সিক্সপ্যাক চেহারা ভাল লাগতেই পারে বা আপনার তন্বী করিনাকে পছন্দ। তাই বলে নিজের প্রিয় মানুষকেও তেমন দেখতে হবে বা তেমন চেহারা তৈরি করতে হবে এমন প্রত্যাশা রাখবেন না। ঠিক তেমনভাবেই কাউকে অকারণে পাল্টাতে যাবেন না। সব মানুষের স্বভাব আলাদা। ফলে কাউকে বেঁধে রাখার চেষ্টা করবেন না। এতে কোনও লাভ হবে না। কারও বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড দামি উপহার দিয়েছে বলে আপনারও শখ জাগতে পারে। এই ধরনের ইচ্ছা এড়িয়ে চলুন। সবসময় সাধ এবং সাধ্যের ফারাক বুঝুন।             

Advertisement

নেতিবাচক কথা এড়িয়ে চলুন- আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কারও সামনে কথা বলবেন না। তাঁর প্রশংসা করতে পারেন। তবে বদনাম একেবারে নয়। সঙ্গীর কোনও কথা হেসে উড়িয়ে দেবেন না। তিনি দুঃখ পান। সহমর্মিতা দেখার তাঁর প্রতি। মনের মানুষকে সবসময় আতসকাঁচের তলায় ফেলবেন না। তাঁর সব কাজেই বকা দিচ্ছেন এমনটা যেন না হয়। এতে ধীরে ধীরে আপনাদের দূরত্ব তৈরি হয়। কোনও সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করুন। আপনার প্রিয় মানুষের কোনও সমস্যা বা বদভ্যাস থাকতেই পারে সেটা নিয়ে হাঁটে হাঁড়ি ভাঙবেন না। মনে রাখবেন এতে আপনি নিজের সম্পর্ককেই ছোট করছেন। সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তিকে ঢোকাবেন না। তাঁর পরামর্শ নেওয়ারও দরকার নেই। 

সংযম- প্রতিটি সম্পর্কে মান-অভিমান থাকে। সম্পর্ক মানেই চড়াই-উতরাই। প্রাথমিক ভাললাগার পর যত সম্পর্ক গাঢ় হয় তত বেশি তৈরি হয় প্রত্যাশা। ততবেশি দু'জন মানুষ একে-অপরের হয়ে ওঠেন। তাই অনেকক্ষেত্রে প্রাথমিক যে আনুষ্ঠানিকতা বা শিষ্ঠাচার ছিল তা আর থাকে না। পদে পদে ঝগড়া, অশান্তি লেগেই থাকে। প্রিয় মানুষের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলে ফেলেন। এমনটা করবেন না। যখনই তর্কের পরিস্থিতি হবে শান্ত থাকুন। শান্তভাবে জবাব দিন। নিজের ভুল থাকলে স্বীকার করে নিন। বাহুডোরে প্রিয় মানুষকে টেনে নিন।

আরও পড়ুন- অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের ৫ লক্ষণ পায়ে, আর কী কী দেখে বুঝবেন?

POST A COMMENT
Advertisement