দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল, কারাগারে লেখক মোশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা।
রবিবার প্রেসক্লাবের সামন ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সময় বিএনপির ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও ফাকা গুলি ছোড়ে। ছাত্রদলের সদস্যরাও পুলিশের উপর পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়ে। এই সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। ছাত্রদল সভাপতির দাবি তাদেরও ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিএনপির ছাত্র সংগঠন ও পিলিশের মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে চলা এ সংঘর্ষের সময় ঢাকার গুরুতপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ঢাকার রমনা জোনের পুলিশের ডিসি বলছেন, ঢাকা শহরের যে কোন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে হলে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু ছাত্রদল অনুষ্ঠান করার জন্য কোন অনুমতি নেয়নি। বরং তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের উপর হামলা করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকে ছাত্রদলের কর্মীরা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসেছিলেন। কিন্তু অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় পুলিশ। তারপরেও ছাত্রদলের কর্মীরা সমবেত হতে শুরু করে। তখন পুলিশ অ্যাকশনে যায়, শুরু হয় লাঠিপেটা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বরে আশ্রয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। সেখান থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে কেউ কেউ। পরে পুলিশের একটি দল প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকেও লাঠিপেটা করে এবং কয়েক রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে। এই ঘটনার পরপর দ্বিতীয় দফায় আবারো ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে চেষ্টা করলেও পুলিশ আবারও লাঠিপেটা করে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হন।