'ওখানে হারমোনিয়াম ভেঙেছে। এখানে বাচ্চা মেয়েকে গাইতে দেওয়া হচ্ছে না'। লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে নিয়ে বললেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
'আমি হিন্দু ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে। উনি মুসলিমকেই সাপোর্ট করছেন। মুসলিমদের নিয়ে দল তৈরি হচ্ছে'। বললেন নিশা চট্টোপাধ্যায়।
মুস্তারা বিবি জানিয়েছেন, তিনি কালিয়াচক থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তবে হুমায়ুন কবির প্রার্থী করার পরই রাতারাতি তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ওই মহিলার দাবি, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের পেছনে কার হাত রয়েছে, এই প্রশ্নে দায় ঠেলাঠেলি শাসক ও বিরোধী শিবিরে। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, 'বিজেপি বিরোধী ভোট কাটার খেলা খেলছে। বিজেপিকে রুখতে ভোট দিতে হবে তৃণমূলকে। বিজেপির বি-টিমকে যদি কেউ ভোট দেয়, তা হলে বিজেপির হাতই শক্তিশালী হবে।' অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেত্রীর রাজত্বে বিধ্বংসী আধিপত্যবাদের মধ্যে কেউ আলাদা করে একটা দল তৈরি করে ফেলছে, এটা কি সম্ভব? হুমায়ুনই তৃণমূল, তৃণমূলই হুমায়ুন।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এসআইআর নিয়েও মিথ্যে প্রচার করা হয়েছিল। বলা হচ্ছিল, এটা ওয়ান টাইপ অফ এনআরসি। আমার সঙ্গে বহু মুসলিম মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর বলছিল, মুসলিম নাম দেখে দেখে নাম বাদ দেবে। কিন্তু কী দেখা গেল, সব ভারতীয় মুসলিমদের নাম আছে। আর যারা ডাউটফুল বাংলাদেশি মুসলিম, তাদের বাদ গেছে। তাঁর ডকুমেন্ট জমা দিয়ে প্রমাণ দেবে। আমি ধন্যবাদ জানাবো, মুর্শিদাবাদ-মালদা সহ একটা বড় অংশের মুসলিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাঁদে পায় দেয়নি।'
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে নিশানা করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পাল্টা জবাব দিলেন কুণালও। হুমায়ুনের বিজেপি যোগের সেই অতীত তুলে কুণালের কটাক্ষ, 'বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী বিজেপির প্রার্থী হয়েছিল। তার মুখে অন্য কথা সাজে?' ছাব্বিশের বাংলায় বিজেপি-র বি টিম, সি টিম, ডি টিম বোঝালেন কুণাল। মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে ঠিক কী বলছেন তৃণমূলের মুখপাত্র? দেখুন।
মতুয়া সমাজের উদ্দেশে আশ্বাস দিয়ে অসীম সরকার বলেন, 'মতুয়া ভোট সুরক্ষিত রয়েছে। এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিষয়টিকে অযথা আতঙ্কের রূপ দেওয়া হচ্ছে।' তাঁর মতে, প্রশাসনিক নিয়ম মেনেই ভোটার তালিকা সংশোধন হবে এবং এতে কোনও সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব হবে না।
কাশ্মীর ও অসমের পরেই মুসলিম জনসংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বর্তমান তথ্য অনুসারে, এ রাজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটদাতা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের ম্যাপিং করা যায়নি ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের সঙ্গে। সেই মর্মে এবার ধীরে ধীরে হিয়ারিংয়ের ডাক পেতে শুরু করেছেন অনেকেই। হিয়ারিংয়ে ডাক পেলে কী কী নথি সঙ্গে রাখতে হবে জানেন?
অর্জুন সিংকে পাশে বসিয়ে BJP-তে যোগদানের ঘোষণা করলেন ব্যারাকপুরের এক মহিলা কাউন্সিলর এবং তাঁর স্বামী। তিনি আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন ছায়াসঙ্গী ছিলেন বলেও খবর। দলের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলেছেন এই রাজনৈতিক দম্পতি।
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে খোকাবাবু বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তার জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বললেন, 'আমার বয়স ৫৫ বছর। এই বয়সে আর কেউ খোকাবাবু থাকে না।' নতুন দলগঠনকারী হুমায়ুন কবিরকেও বার্তা দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।