বাংলাদেশের অতি জনপ্রিয় একটি মুখ হল হিরো আলম। যিনি শুধু ওপার বাংলাতেই নয় বরং এপার বাংলাতেও নিজের ক্যারিশ্মার জেরে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। হিরো আলমের নামই যথেষ্ট।
কয়েক বছর আগেও সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না হিরো আলমের। এখন সেই আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। সিনেমা থেকে রাজনীতি সবতেই তাঁর প্রতিপত্তি রয়েছে। হিরো আলমকে নিয়ে নানা সময়েই অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু তাতে তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনের জন্য তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলেন তিনি। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কে তাঁর নামে ছিল মাত্র ১ হাজার টাকা। ছিল ২১ শতাংশ কৃষিজমি, ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি পুরনো বাইক, আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র। কিছু ইলেকট্রনিকস জিনিস এবং স্ত্রীর এক ভরি সোনার গয়নাও ছিল।
সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, কৃষি থেকে তাঁর বছরে আয় হয় ৬ হাজার টাকা। অভিনয় করে তিনি আয় করেন ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তখন নিজের বাড়ি এবং গাড়িও ছিল না হিরো আলমের।
২০২৩ সালে এসে সেই হিরো আলমই এখন কোটিপতি। এখন তিনি চড়ছেন কয়েক লাখ টাকার দামের গাড়িতে। ৯ শতক জায়গা কিনে নিজের বাড়ি বানিয়েছেন তিনি। এখন তাঁর ব্যাঙ্কে জমা আছে ৫৫ লক্ষ টাকা। কিনেছেন কৃষিজমিও। কৃষিজমির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। তাঁর স্ত্রীর ১০ ভরি সোনার অলঙ্কার আছে। সেই সঙ্গেই আছে লক্ষাধিক টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র বা ফিক্সড ডিপোজিট।
তিনি বলেন, “ আমার কোনও কালোটাকা নেই। আমি স্টেজ শো করি, চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অভিনয় করি। মিউজিক ভিডিও তৈরি করি। আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেল আছে। ইউটিউব থেকেও আমার আয় হয়। আমার সব আয় সৎভাবে উপার্জিত। কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ আমার নেই।”
বগুড়ার এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন আশরাফুল। এই করে তিনি কেবল ব্যবসাও শুরু করেন। সেই সুবাদে কিছু মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন তিনি। পরে সেগুলি জনপ্রিয় হয়। এছাড়াও ‘মার ছক্কা’ ও ‘সাহসী হিরো’ ছাড়াও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।