
বাংলাদেশের একাংশের জনতার এখন রাগ সংস্কৃতি চর্চার উপর। তাই শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চার পীঠস্থান ছায়ানটে হল হামলা।

'আল্লহ হু আকবর' আওয়াজ তুলে ভেঙে দেওয়া হল তবলা ও হারমোনিয়াম। ভেঙে ফেলা হয় আরও অনেক কিছুই। যার ফলে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ছায়ানট।

এখানেই শেষ নয়, ছায়ানটে থাকা গানের খাতাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। চারদিকে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ছায়ানট।

তবলা, হারমোনিয়াম ছাড়াও, সেখানে যেই সকল বাদ্যযন্ত্র ছিল, সেগুলিও ভেঙে ফেলা হয়। টেবিল, চেয়ার ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। লাগানো হয় আগুন।

ইতিমধ্যেই এই ভাঙচুরের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সব ভিডিও দেখলে শিউরে উঠতে হয়।

এই ভিডিওগুলিতে শোনা বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা গিয়েছে যে, 'এখানে ভারতীয় সংস্কৃতির কোনও জায়গা নেই।' যদিও bangla.aajtak.in-এ এই ভিডিওগুলির কোনও সত্যতা যাচাই করা হয়নি।

আসলে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতেও আবার নতুন করে চলে ভাঙচুর। সেখানে পৌঁছে যায় ক্ষুদ্ধ জনতা। এছাড়া আওয়ামী লিগের বাড়িতেও চলে বিক্ষোভ।

এমন অবস্থায় আগুন দিয়ে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর দফতরে। পাশাপাশি ডেইলি স্টারের দফতরেও চলে ভাঙচুর।

বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষের সামনেও চলেছে ক্ষোভবিক্ষোভ। আর তারই মাঝে এক হিন্দুর মৃত্যুর খবর এসেছে। যার ফলে আরও উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি।