Bangladesh : বাংলাদেশে হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রী-কে গলা কেটে খুন, সংখ্যালঘুদের উপর ফের বাড়ছে অত্য়াচার

পুলিশেক এক আধিকারিক জানান, রবিবার রাত ১ টা নাগাদ হত্যাকাণ্ড। তবে কে বা কারা করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই হত্য়াকাণ্ডের পিছনে জামাত ই ইসলামির হাত রয়েছে। 

Advertisement
বাংলাদেশে হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রী-কে গলা কেটে খুন, সংখ্যালঘুদের উপর ফের বাড়ছে অত্য়াচার bangladesh
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাকে খুন
  • অভিযোগের আঙুল জামাতের দিকে

বাংলাদেশে এবার হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রী-কে খুন। দুজনেরই গলা কেটে খুন করে দুষ্কৃতীরা। আওয়ামি লিগের অভিযোগ, জামাত-ই-ইসলামি এই খুনের সঙ্গে যুক্ত। তবে তা নিয়ে ওই সংগঠনের কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। এদিকে ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর কারণে হিন্দুদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। 

মৃতদের নাম যোগেশচন্দ্র রায় (৭৫) ও সুবর্ণা রায় (৬০)। বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্সা ইউনিয়নের খিয়ারাপাড়া গ্রামে। যোগেশবাবু পেশায় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে অবসর নেন তিনি। তবে সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত থাকতেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। 

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে বাড়ির ভিতর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। সেদিন সকাল হয়ে গেলেও ঘুম থেকে উঠতে না দেখে ওই দম্পতির বাড়িতে যান প্রতিবেশীরা। তারপর তাঁরা ঘরে ঢুকে দেখেন, দুজনই গলা কাটা অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

পুলিশেক এক আধিকারিক জানান, রবিবার রাত ১ টা নাগাদ হত্যাকাণ্ড। তবে কে বা কারা করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই হত্য়াকাণ্ডের পিছনে জামাত ই ইসলামির হাত রয়েছে। 

এই ঘটনায় মহম্মদ ইউনূস পরিচালিত সরকার ও জামাতকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আওয়ামি লিগ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য মহাম্মদ আলি আরাফাত এই ঘটনার পর অভিযোগ করেন, এই সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের উপর হামলা বাড়ছে। এই খুন সেকথা প্রমাণ করে। 

মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণকারী যোগশচন্দ্র শিক্ষকতার চাকপরি থেকে ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। স্ত্রী-কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁদের দুই ছেলে, শোভেন রায় এবং রাজেশ রায়। দুজনেই বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় থানার ওসি। তদন্তকারীদের একটা সূত্রের দাবি, কোনও হিন্দু পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিল না ওই পরিবারের। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, খুনের নেপথ্যে রয়েছে জামাত ই ইসলাম। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement