Bangladesh Radical Leaders: স্রেফ অন্ধ 'অ্যান্টি-ইন্ডিয়া', দু'বছরে যে ৫ নেতার উত্থান বাংলাদেশে

২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে বাংলাদেশে পালা বদল হয়েছে। এই অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর হাসিনার জায়গায় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। আর শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে চরমপন্থী নেতাদের দাপাদাপি বেড়েছে। এই সময় ইউনূস অতি চালাকির সঙ্গেই ভারত বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী হাওয়া তুলছেন। আর তাতেই মত্ত বাংলাদেশের মানুষ।

Advertisement
স্রেফ অন্ধ 'অ্যান্টি-ইন্ডিয়া', দু'বছরে যে ৫ নেতার উত্থান বাংলাদেশেবাংলাদেশ
হাইলাইটস
  • ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে বাংলাদেশে পালা বদল হয়েছে
  • এই অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন
  • হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে চরমপন্থী নেতাদের দাপাদাপি বেড়েছে

২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে বাংলাদেশে পালা বদল হয়েছে। এই অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর হাসিনার জায়গায় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। আর শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে চরমপন্থী নেতাদের দাপাদাপি বেড়েছে। এই সময় ইউনূস অতি চালাকির সঙ্গেই ভারত বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী হাওয়া তুলছেন। আর তাতেই মত্ত বাংলাদেশের মানুষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও হিন্দু বিরোধী এই জিগিরের হাত ধরে সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসছেন ইউনূস। আর শুধু ইউনূস নন, মুসলিম চরমপন্থী ভাবনার হাত ধরে আরও অনেক নেতাই উঠে এসেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ৫ জন। তাদের নাম হল, নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লা, আসিফ মুহম্মদ, সফিকুর রহমান এবং মামুনুল হক। আসুন তাদের বিষয়ে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

মহম্মদ নাহিদ ইসলাম

২৭ বছর বয়সী এই ছাত্র নেতা ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল কোঅর্ডিনেটর ছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার ফেলে দেওয়ার পিছনেও ছিলেন নাহিদ। তিনি অন্তবর্তী সরকারের তথ্য এবং সংস্কৃতি দফতর সামলাচ্ছিলেন। তবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (NCP) খোলেন তিনি।

সমলোচকরা মনে করছেন, জামাতই ইসলামীর সঙ্গে নাহিদের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। পাশাপাশি তিনি চরমপন্থীদেরও সহযোগিতা করছেন। তার উগ্র ভাবনাচিন্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ছাত্র-যুবদের মধ্যে।

নাহিদ বিশ্বাস করেন, ভারতের উচিত বাংলাদেশ সম্পর্কে নিজেদের ভাবনা বদলানো। তাঁর কথায়, 'আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখা দরকার।'

হাসানাত আবদুল্লা

২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন হাসানাত আবদুল্লা। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালে তিনি NCP গঠনের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। পাশাপাশি তিনি দলের দক্ষিণ অঞ্চলের চিফ অর্গানাইজার হিসাবে কাজ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ভোটে লড়ার প্রস্তুতি শুরু করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ভারতের সম্পর্কে বিষও উগড়ে যাচ্ছেন সময় পেলেই।

Advertisement

হাসানাতের মতে, ভারত হাসিনার সমর্থকদের সাহায্যে বাংলাদেশে অশান্তি ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারতের উত্তর পূর্বে সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি।

অসিফ মহম্মদ

নাহিদের বন্ধু হলেন আসিফ। তিনিও ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্তবর্তী সরকারের যুব এবং ক্রীড়া দফতর সামলেছেন তিনি। আসিফ ফেব্রুয়ারিতে ভোটেও দাঁড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বারবার ভারত বিরোধীতার করে গিয়েছেন আসিফ।

সাফিকুর রহমান

ডাঃ সাফিকুর রহমান জামাতই ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত। তিনি চরমপন্থী ভাবনাচিন্তায় বিশ্বাসী। তার মুখ থেকে বারবার ইসলামিক গণতন্ত্রের কথা বেরিয়ে আসে। আর ২০২৫ সালে সাফিকুর রহমান হিন্দু বিরোধী প্রোপাগান্ড সামনে আনছেন। তার প্রধান দাবি হল, ভারত যেন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়।

মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটরি জেনারেল হলেন মামুনুল হক। তিনি ভারত বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রোপাগ্যান্ডা করেন তিনি। ২০২১ সালে মোদী যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, তখন এই ব্যক্তিই সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেন। এমনকী সেই আন্দোলনে অনেকের মৃত্যুও হয়।

POST A COMMENT
Advertisement