Bangladesh : বাংলাদেশের বারোটা তো বেজেইছে, এবার জামাতের টার্গেট পার্লামেন্ট? জোট গড়ছে কট্টরপন্থীরা

বাংলাদেশে যে জামাত ই ইসলামি শেখ হাসিনার সময় নিষিদ্ধ দল ছিল, সেই তাদেরই আধিপত্য বাড়ছে। এতদিন পর্যন্ত তারা একাই বাংলাদেশজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল, এবার আরও একাধিক কট্টরপন্থী সংগঠনকে নিয়ে রাস্তায় নামছে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি পৌঁছে দিতে।

Advertisement
বাংলাদেশের বারোটা তো বেজেইছে, এবার জামাতের টার্গেট পার্লামেন্ট? জোট গড়ছে কট্টরপন্থীরাBangladesh
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশে জামাতের বাড়বাড়ন্ত
  • সরকারের উপর চাপ বাড়াতে তারা এবার রাস্তায় নামছে

বাংলাদেশে যে জামাত ই ইসলামি শেখ হাসিনার সময় নিষিদ্ধ দল ছিল, সেই তাদেরই আধিপত্য বাড়ছে। এতদিন পর্যন্ত তারা একাই বাংলাদেশজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল, এবার আরও একাধিক কট্টরপন্থী সংগঠনকে নিয়ে রাস্তায় নামছে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি পৌঁছে দিতে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামাত ই ইসলামি আন্দোলন মঞ্চ ও খিলাফত মজলিস। 

মোট তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে দুই দলের তরফে। তাদের সঙ্গে আরও কট্টরপন্থী সংগঠন অংশ নেবে। ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকায় হবে মিছিল। এছাড়াও ১৯ তারিখ জেলাগুলো ও ২০ তারিখ উপজেলাগুলোতে মিছিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই তিন দিনের জমায়েতে লাখ লাখ লোকের সমাগম হতে পারে। স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের একাধিক জায়গা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই নির্বাচন কমিশন ও ইউনূস প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে মিটিং মিছিল বাড়বে। 

জমায়েত থেকে পাঁচ দফা দাবি জানাবে জামাত ই ইসলামি। তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান হল নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা PR চালু। যদিও এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসনভিত্তিক ভোট ব্যবস্থা চালু ছিল বা রয়েছে। PR পদ্বতির নিয়ম হল, এই পদ্ধতিতে কোনও রাজনৈতিক দল সাধারণ নির্বাচনে যত শতাংশ ভোট পায়, তার ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে তাদের আসনসংখ্যা স্থির হয়। এই পদ্বতি মেনে ভোট হলে অনেক ছোটো দলের উপকার হয়। তারা বিধানসভা বা লোকসভায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে। 

প্রসঙ্গত, এর আগেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ঘোষণা করেছিল জামাত। তা নিয়ে কমিশন বা সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পরপর তিনদিন আন্দোলন করে সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কট্টরপপন্থীরা।  

জামাতের নেতা সইদ আবদুল্লা তাহির মহম্মদ জানান, তাঁদের লক্ষ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানো। যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়। বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে মৌখিকভাবে একাধিক দাবি উত্থাপন করেছি। যদি সরকার এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় বা আলোচনার আহ্বান না করে, তাহলে ধীরে ধীরে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।' যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য কট্টরপন্থীদলের সঙ্গে জোটের কথা স্বীকার করেনি জামাত। তবে বাংলাদেশকে অচল করতেই একইদিনে একাধিক দল মিছিল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement