এপার বাংলা হোক কিংবা ওপার বাংলা পান্তাভাতের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। বিশেষ করে গরমকাল আসলেই যেন মনটা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার জন্য উতলা হয়ে থাকে। আর এই সময়টা পান্তাভাত খাওয়ার সেরা সময়। ভাতের মধ্যে জল ঢেলে, তাতে লেবু দিয়ে আর সঙ্গে পেঁয়াজ-কাঁচালঙ্কা হলে তো কথাই নেই। আর এই পান্তাভাত খেতে ভীষণভাবে ভালোবাসেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজের অভিনয় দিয়ে ইতিমধ্যেই জয়া আপামর বাঙালির মন জয় করেছেন আর এখন মুগ্ধ করলেন তাঁর পান্তাভাতের প্রতি ভালোবাসাকে সামনে নিয়ে এসে।
ধানী রঙের জামদানিতে সোনালি কারুকাজ, খোলা চুল আলতো করে আটকানো ঘাড়ের কাছে। নাকছাবিতে হিরের ঝলক, হাতে করমুখী কাঁকন। শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে জয়া ব্যস্ত শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ ও নুন মাখতে। সেই মাখাটা এবার দিয়ে দিলেন পান্তাভাতে। স্টারডম ভুলে মহানন্দে পান্তা মাখছেন জয়া। ঘরোয়া পান্তা উৎসবে এই রূপেই দেখা গেল সৃজিতের দশম অবতার-এর অভিনেত্রীকে। এই ভিডিও শেয়ার করে জয়া লিখেছেন বৈশাখী পান্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও এখন ভাইরাল।
শুধুই কি মেনুতে পান্তা ছিল, না একেবারেই নয়। রকমারি ভর্তা, ইলিশ মাছ ভাজা, বিরিয়ানি, পোলাও, পাতুরি, ডেজার্ট আরও রকমারি। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে জয়ার সাধারণ হয়ে ওঠা সকলের সঙ্গে। অভিনেত্রী যে পান্তাপ্রিয় তা এর আগেও ধরা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। গতবছরও তাঁর পান্তাভাত মাখার ঘরোয়া ছবি নজর কেড়েছিল নেট দুনিয়ায়। বরাবর পান্তাভাত মাখার দায়িত্ব জয়া নিজের কাঁধেই নেন। গতবছরও একেবারে কবজি ডুবিয়ে পান্তা মেখে খেয়েছেন। সঙ্গে ছিল সুন্দর করে ভাজা ইলিশ মাছ। যা দেখলে অনেকেরই জিভে জল আসতে বাধ্য।
দুই বাংলায় জনপ্রিয়তা রয়েছে জয়ার। তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় একাধিকবার দর্শকদের মন জয় করেছে। বাংলাদেশ ও টলিউড দুই জায়গাতেই সমানভাবে কাজ করে চলেছেন জয়া। গত পুজোতেই মুক্তি পেয়েছিল সৃজিতের পরিচালনায় দশম অবতার। অপরদিকে, এই বছরের গোড়াতে মুক্তি পায় ভূতপরী। বাংলাদেশেও পেয়ারার সুবাস ছবিটি দারুণভাবে হিট হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে জয়ার অভিনয়ও।