সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের একটি খবর শিরোণামে এসেছিল। ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইউএনওর এভাবে জরিমানা করার ঘটনা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ছাগলের মালিকের অভিযোগ ছিল, তাঁর অনুপস্থিতিতে জরিমানা করা হয় ছাগলটিকে। পরে ইউএনও সেটিকে বিক্রি করে দেন। এই ঘটনায় এবার ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। বদলি করা হল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিনকে।
জানা যাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশসংক্রান্ত একটি চিঠি মঙ্গলবার শারমিনকে পাঠানো হয়। বগুড়ার জেলা প্রশসাক জিয়াউল হক এই বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যাচ্ছে ফুলগাছ খাওয়ার অভিযোগে গত ১৭ মে ইউএনও ছাগলের মালিক-কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা করার ৯ দিন পর মালিক সাহারা বেগমকে না জানিয়ে সেটি বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতেই আলোচনা শুরু হয়। এরপর গত ২৭ মে জরিমানার টাকা ইউএনও নিজে ফেরত দিয়ে ছাগলটি তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ছাগল বিক্রির অভিযোগও সত্যি নয় বলে দাবি করেছিলেন সীমা শারমিন। অভিযুক্ত ইউএনও বলেন, ছাগলটি একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। এ ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় হওয়ার পর তার বদলির আদেশ দেওয়া হল। তবে এটি নিয়মিত বদলি বলেই দাবি করা হয়েছে প্রশসনের তরফে।