অ্যাম্বুলেন্স নিলেও ইলিশ নয়
ভারত থেকে অ্যম্বুল্যান্স উপহার গেল বাংলাদেশে, তবু এখনও বদলে ইলিশ দিতে রাজি নয় তারা। বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছেন ইলিশ রপ্তানি নিয়ে এখনও কয়েক বছর ভাবছে না তাঁরা। ফলে আশু ইলিশ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
প্রতিশ্রুতি মত অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছল বাংলাদেশে
করোনা মহামারি মোকাবিলা ও জনস্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া ভারতের আরও ৪০ টি অ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার ওদেশে ঢুকে যাওয়ার কথা। বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
পেট্রাপোল থেকে এদিন ঢাকা পৌঁছবে
সেই প্রতিশ্রুতিপূরণের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে প্রথম দফায় গত ১৭ অগাস্ট ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোলে পৌঁছেছে। বেনাপোল স্থল শুল্ক চেকপোস্টে ছাড়পত্র পাওয়ার পর এগুলো বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছে যাওয়ার কথা। আরও ৩৮টি অ্যাম্বুল্যান্স সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পৌঁছনোর কথা রয়েছে।
ভারত সহ কোথাও ইলিশ রপ্তানি নয়
তবে ভারত থেকে স্বাস্থ্য় সহায়তা নিলেও বদলে যে ইলিশ আসবে এমন কোনও সম্ভাবনা খারিজ হয়ে গিয়েছে মৎস্যমন্ত্রীর কথাতেই। এখনই ইলিশ রপ্তানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন যেটা হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর যদি এ ধারা অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসবে।
কেন রপ্তানি হবে না ইলিশ ?
মঙ্গলবার (২৪ অগাস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিকভাবে এখন ব্যাপক আকারে ইলিশ রপ্তানি হলে দেশের মানুষের সুস্বাদু ইলিশ খাওয়ার সুযোগটা অনিশ্চিত হতে পারে। তাই ব্যক্তিগতভাবে ইলিশ রপ্তানির পক্ষে নই জানান তিনি।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ইলিশ পৌঁছতে চান তাঁরা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর মতে, এখনো অনেক গ্রাম রয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখানে ইলিশ যায় না। আমি চাই, দেশের সবাই যেন ইলিশের স্বাদ নিতে পারে। তারপর রপ্তানির কথা ভাবা যাবে। ফলে কোনও কিছুর বিনিময়েই তাঁরা ইলিশ ছাড়তে রাজি নন। ফলে হতাশ ভারতীয় বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের ইলিশপ্রেমীরা।