যুবনেতাকে গুলিআবার বাংলাদেশে যুব নেতা গুলিবিদ্ধ। ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি বা NCP-এর মহম্মদ মোতালেব সিকদারকে গুলি করা হয়েছে মাথায়। ৪২ বছর বয়সী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদারকে সোমবার বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে গুলি করা হয়। বাংলাদেশের সোনাডাঙায় তাকে গুলি হয়েছে বলে খবর। তার শারীরিক পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
এই প্রসঙ্গে NCP-এর নেতা সইফ নেওয়াজ সংবাদ সংস্থা প্রথম আলোকে জানান, মোতালেব সিকদার সেন্ট্রাল অর্গানাইজার ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি NCP-এর শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা ডিভিশনের কনভেনারও ছিলেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই খুলনায় শ্রমিকদের নিয়ে ব়্যালি করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গুলি করা হয়েছে এই নেতাকে বলে জানা গিয়েছে।
মাথায় রাখতে হবে যে, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে আরও এক যুবনেতা ওসমান হাদি খুন হয়েছেন। রিকশা করে যাওয়ার সময় তাকে পিছন থেকে গুলি করা হয়। গুলি লাগে হাদির মাথায়। তারপর প্রথমে বাংলাদেশেই তার চিকিৎসা করা হয়। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় হাদির। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশেই তাকে দেওয়া হয় কবর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও।
ও দিকে হাদির উপর আক্রমণের পরই উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কার্যত জ্বলছে পড়শি দেশ। ভাঙচুর হয়েছে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো সংবাদত্রের অফিস। সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ভাঙচুর হয়েছে সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র ছায়ানটে। এছাড়া দেশের একাধিক জায়গায় ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এমনকী ভারতীয় হাই কমিশনের সামনেও চলেছে বিক্ষোভ। সেখানেও জমায়েত হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, কিছু দুষ্কৃতী এই সুযোগে দীপু দাস নামের এক হিন্দু ব্যক্তিকে প্রথমে মারধর করে। তারপর গাছে বেঁধে পুড়িয়ে দেয়। আর সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নিন্দা চলছে চারদিকে। আর সেই কারণে আপাতত তদন্ত শুরু করেছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। একাধিক ব্যক্তিকে এই মামলায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই সব লোক দেখানে পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে, বাংলাদেশ প্রশাসন সংখ্যালঘু নির্যাতনের পক্ষেই রয়েছে।