Bangladeshi Patients in Kolkata: সন্তানের বিরল রোগের চিকিত্‍সা চলছিল কলকাতায়, ভিসা না পেয়ে ঘোর বিপদে বাংলাদেশি দম্পতি

বিরল ক্র্যানিওসিনোস্টোসিস রোগে আক্রান্ত রিদওয়ান। এই শিশুর খুলির হাড়ের বৃদ্ধি এমন ভাবে হয়, যার জেরে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে না। মাথার অ্যাবনর্মাল শেপ চলে আসে।

Advertisement
সন্তানের বিরল রোগের চিকিত্‍সা চলছিল কলকাতায়, ভিসা না পেয়ে ঘোর বিপদে বাংলাদেশি দম্পতিAI Generated Image
হাইলাইটস
  • বহু বাংলাদেশির ভারতে আসার ভিসা পেতে অসুবিধা হচ্ছে
  • আরেকটি চেকআপ ভীষণ জরুরি এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে
  • প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার সার্জারির পর 

বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েনের শিকার এবার এক দুধের শিশু! বাংলাদেশে হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের ফলে বিপাকে পড়েছেন ভারতের চিকিত্‍সা করতে আসা বাংলাদেশিরা। যার নির্যাস, সন্তানের বিরল রোগের চিকিত্‍সা রাতে কলকাতায় আসার ভিসা পাচ্ছেন না এক দম্পতি। কলকাতার হাসপাতালেই চিকিত্‍সা চলছিল ছোট্ট রিদওয়ান হাবিব ইলহামের।

বহু বাংলাদেশির ভারতে আসার ভিসা পেতে অসুবিধা হচ্ছে

বিরল ক্র্যানিওসিনোস্টোসিস রোগে আক্রান্ত রিদওয়ান। এই শিশুর খুলির হাড়ের বৃদ্ধি এমন ভাবে হয়, যার জেরে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে না। মাথার অ্যাবনর্মাল শেপ চলে আসে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালেই ওই শিশুর মা-বাবা চিকিত্‍সা করাচ্ছিলেন। সফল ভাবে অপারেশনও হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই বাঁধে বিপত্তি। বাংলাদেশে অরাজকতা শুরু হয়ে যায়। তীব্র ভারত বিদ্বেষ ও হিন্দু নির্যাতনের জেরে দু দেশের সম্পর্কের অবনতি। যার জেরে ভিসা পেতেও অসুবিধা হচ্ছে। বহু বাংলাদেশির ভারতে আসার ভিসা পেতে অসুবিধা হচ্ছে।  

আরেকটি চেকআপ ভীষণ জরুরি এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে

ওই শিশুর বাবা আহসান হাবিব রুবেল সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, 'কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আমার সন্তানের সফল অপারেশন হয়েছে। তারপর আমরা বাংলাদেশ ফিরে যাই। কিন্তু গত জুলাই থেকে বাংলাদেশি নাগিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে নানা কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত সরকার। এখন তো মেডিক্যাল গ্রাউন্ডেও ভিসা পাচ্ছি না। খুব টেনশনে আছি, আমার ছেলের মাথা অস্বাভাবিক ভাবে বড়।' ওই বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার জানিয়েছেন, অপারেশনের পরে ৬ মাসের মধ্যে আরেকটি চেকআপ ভীষণ জরুরি এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে।

প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার সার্জারির পর 

কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের টিমের হেড জি আর বিজয় কুমার জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার সার্জারির পর ওই শিশুর মাথার খুলির রিকন্স্ট্রাক্ট করা হয়েছে। ৬ দিন পরে ওকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হয়। মুখের শেপ দেওয়া হয়েছে। তবে আরও একটি চেক আপ প্রয়োজন।   

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement