scorecardresearch
 

Bangaladesh: বাংলাদেশ আর 'ধর্মনিরপেক্ষ' নয়? বড় পদক্ষেপের তোড়জোড় ইউনূস প্রশাসনের

বুধবার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে শুনানি হয়।

Advertisement
এবার সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দ তোলার পথে বাংলাদেশ, সওয়াল খোদ অ্যাটর্নি জেনারেলের এবার সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দ তোলার পথে বাংলাদেশ, সওয়াল খোদ অ্যাটর্নি জেনারেলের
হাইলাইটস
  • মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সংবিধানে আর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের প্রয়োজন নেই
  • পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে

বাংলাদেশের সংবিধানে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দ না রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন সেদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ৯০% মুসলিম, সংবিধানে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি রাখার দরকার নেই।' সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, 'এখানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। আগে আল্লার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। এটা আগে যেমন ছিল তেমন চাই। অনুচ্ছেদ ২-এ-তে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র সকল ধর্ম পালনে সমান অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করবে। ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' সম্পর্কে বলা হয়েছে। এটা পরস্পরবিরোধী।'

বুধবার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে শুনানি হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এই নয় যে হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হবে, ৬০ লাখের বেশি মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হবে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হবে। যাদের হাত নেই, এমন ব্যক্তিদের আসামি করে বোমা মেরেছে বলে দাবি করা হবে। হজে যাওয়া লোকজনকেও চার্জ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এসব কিছু হতে পারে না।'

আসাদুজ্জামান বলেন, 'সংবিধানের ৭ (খ) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সংবিধানের মূলনীতি হল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র নয়। আমরা সমাজতন্ত্র দূর করতে চাই। শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কেউ অস্বীকার করেন না। জাতির পিতাকে নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। জাতি বিভক্ত। দেশ স্বাধীনের পর প্রণীত সংবিধানে জাতির পিতা বিষয়টা ছিল না। এটি পঞ্চদশ সংশোধনীতে ঢোকানো হয়েছিল। জোর করে। এটা করা হয়েছে- তাঁর (শেখ মুজিব) বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহ হবে। তাঁকে জাতির পিতা বলা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী।' রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়ে বলেন, 'এতে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের কোনও দেশে ভাষা দ্বারা জাতিসত্তাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় না।'

Advertisement

অনুচ্ছেদ ৭এ ও ৭বি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য করা হয়েছে। এটা করা হয় স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘায়িত করার জন্য। এটা আইনের শাসনের পরিপন্থী।' শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলুপ্তি বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে এবং মৌলিক অধিকার নষ্ট করেছে। পঞ্চদশ সংশোধনীকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না? এটাকে সংবিধানের অংশ হিসেবে রাখা যাবে না। পঞ্চদশ সংশোধনী বহাল রাখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, নব্বই দশকের গণঅভ্যুত্থান এবং ২৪ জুলাইয়ের বিপ্লবের সঙ্গে মিলছে না। এই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল না হলে আবু সাইদ সহ শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে না।'

Advertisement