শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। কারণ নিষেধাজ্ঞা না চাপলে তারা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দিন। তিনি বলেছেন যে সরকার বা বিচার বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কথা বলেন।
ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা এই খবর জানিয়েছে। নাসিরউদ্দিন আরও আশ্বস্ত করেছেন যে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং বাইরের কোনও চাপের মুখে পড়বে না। তিনি আরও বলেন, 'একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' সিইসিও আগের নির্বাচনে ভুয়ো ভোটারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং ভোটের হার কম হওয়ার জন্য ভোট প্রক্রিয়ায় অবিশ্বাসকে দায়ী করেছেন তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন যে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে। যদিও এবারের নির্বাচন আগের নিয়মে হবে না। ৫ অগাস্ট থেকে নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বৈঠকে সিইসি ভোটার তালিকা আপডেট ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ন্যূনতম ভোট দেওয়ার বয়স ১৭ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও এনিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি। তারা বলেছে যে বয়স নির্ধারণের পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তৃতায় ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকা আপডেট করেই নির্বাচন হবে।