বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস দেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসাকে ‘অতিরঞ্জিত প্রচার’ বলে দাবি করেছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যসহ দেশের কোনও নাগরিক যাতে হিংসার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার সময় বাংলাদেশ ছিল সম্পূর্ণ অনিরাপদ দেশ। ইউনূস বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মহম্মদ ইউনূস বলেন যে তার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হিংসার সমস্ত মামলার তদন্ত করছে। তিনি বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে তারা হিংসার সম্মুখীনও হয়েছেন। এ নিয়ে যা কিছু প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। হিংসার ছোট ছোট ঘটনাগুলো ছিল মূলত রাজনৈতিক।' তিনি বলেন, এসব ঘটনাকে আবারও ধর্মীয় রঙ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকার সকলের সহযোগিতায় দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। তিনি বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার দুই মাস পর সারাদেশে প্রায় ৩২ হাজার পুজো মণ্ডপে দুর্গাপুজো উদযাপিত হয়েছে।
১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা ৮ শতাংশ
ইউনূস বলেন, সরকার দুর্গাপুজোর সময় ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিয়েছিল যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা উৎসবটি নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে। বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা প্রায় ৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, অগাস্টে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে ভারতে আসেন শেখ হাসিনা। কার্যকালের ১০০ দিন পূর্ণ হলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউনূস আরও বলেন যে তার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনূস বলেন, 'হত্যার প্রতিটি ঘটনায় আমাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ভারতকে বলবো ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে।'