scorecardresearch
 

Bangladesh Rohingya Camp: সাড়ে ৪ মাসে ২৬ জন খুন, ফের উত্তপ্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প

Bangladesh Rohingya Camp: ফের উত্তপ্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলি। প্রায় প্রতিদিনই সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। ঝরছে রক্ত। খুন। বাংলাদেশ সরকারের এক সূত্রের খবর, কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে গত সাড়ে পাঁচ বছরে ১৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতা (মাঝি) ও পাহারারত স্বেচ্ছাসেবক। 

Advertisement
উত্তপ্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির (Photo Credits: Reuters) উত্তপ্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির (Photo Credits: Reuters)
হাইলাইটস
  • ফের উত্তপ্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলি
  • প্রায় প্রতিদিনই সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে
  • রোহিঙ্গা শিবিরে গত সাড়ে পাঁচ বছরে ১৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

Bangladesh Rohingya Camp: ফের উত্তপ্ত কক্সবাজারের (Cox's bazar) রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলি (Rohingya Refugee Camp)। প্রায় প্রতিদিনই সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। ঝরছে রক্ত। খুন। বাংলাদেশ সরকারের (Bangladesh Government) এক সূত্রের খবর, কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে গত সাড়ে পাঁচ বছরে ১৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতা (মাঝি) ও পাহারারত স্বেচ্ছাসেবক। 

গত সাড়ে চার মাসেই আশ্রয়শিবিরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। বুধবার ভোররাতে কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া ক্যাম্পে মায়ানমারের দু'টি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) নিহত হয়েছেন। ওই দিন রাত ১০টা নাগাদ আশ্রয়শিবিরের সি-ব্লকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সলিম উল্লাহ (৩৪) নামের ওই রোহিঙ্গা শরণার্থী গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। তিনি মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের বি–ব্লকের সাব–মাঝি ছিলেন।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের বক্তব্য, আশ্রয়শিবিরের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে আশ্রয়শিবিরের সি-ব্লকের পাহাড়ে অবস্থান নেয় মায়ানমারের সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (ARSA) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO)। গোলাগুলি ও উভয় পক্ষের সংঘর্ষ চলতে থাকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এরপর আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (APBN) সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসবাদীরা গোলাগুলি বন্ধ করে আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন গলি ও পাশের পাহাড়-জঙ্গলে আত্মগোপন করে। রোহিঙ্গা নেতার বক্তব্য, গোলাগুলি শুরুর আগে আশ্রয়শিবিরের প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ঘুমিয়ে ছিলেন। গোলাগুলির শব্দে সবার ঘুম ভেঙে যায়।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লক থেকে মো. ইলিয়াছ (২৮) নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে উখিয়ায় বালুখালি আশ্রয়শিবিরে বি-৫৭ ব্লক এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নূর কায়াছ নামের এক রোহিঙ্গা গৃহবধূ। একই সময় উখিয়ার ময়নারঘোনা আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ক্যাম্পের হেড মাঝি ৩৮ বছর বয়সী রোহিঙ্গা আবদুর রহিমও।

Advertisement

Advertisement