চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। শহর তিলোত্তমায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির ঘরেও নেমে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবারও ভালই শীত রয়েছে শহরে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও ভালই কামড় অনুভূত হচ্ছে। ২১ জেলায় আজ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশটিতে। শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর।
শীতের সঙ্গে চলছে বৃষ্টিও
বুধবার বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। আজও কিছু এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে ৩১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী দুই দিন ফের বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিন রংপুর বিভাগের ছয় জেলা ও নওগাঁয় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টি বাড়িয়েছে শীতের প্রকোপ। বুধবার রাজধানী ডাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল সামান্য। তবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়—৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া কুমিল্লায় ৮ মিলমিটার এবং চট্টগ্রামে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। পাশাপাশি, ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। ১ থকে ২ ফেব্রুয়ারিও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপমাত্রা নেমেছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা ও কুমিল্লা জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। বাংলাদেশের চার বিভাগে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে সম্প্রতি পারদ নেমেছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি শীতের মরশুমে তাপমাত্রা এতটা আর কখনো নামেনি বাংলাদেশে। এই সময়ে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকার জন্য এটাই মরশুমের।
ঢাকায় ১১ ডিগ্রি তাপমাত্রা
এবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকার জন্য এটাই মরশুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন . ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার রেকর্ড রয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে।