শহরে চলছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। আর সেই উপলক্ষেই কলকাতায় এসেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। গত বছর প্রাক্তন স্বামী শাকিব খান ও অভিনেত্রী বুবলির পাশাপাশি তাঁকে নিয়েও কম উত্তাল হয়নি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম। প্রসঙ্গত ভালোবেসেই ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খানকে বিয়ে করেছিলেন অপু। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ। দুজনে আলাদা হলেও তাঁদের ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের দেখাশোনার বিষয়টা দু’জনেই দেখেন। সম্প্রতি কলকাতায় এসে শাকিবের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন অপু।
বিচ্ছেদের পর অপু বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাকিব ও তার পরিবার সম্পর্কে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। তাও প্রায় ছয় বছর হয়ে গেছে। ছয় বছর পর অপু বুঝতে পেরেছেন-শাকিব ও তার পরিবার নিয়ে নেতিবাচক কথা বলাটা ঠিক হয়নি সেসময়। সম্প্রতি ভারতীয় এক সাংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ঢাকাই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলি, পরে তা শুধরে নেওয়ার জায়গা থাকে না। আমি তো চাইলেও সেটা মুছতে পারব না। আসলে যখন কথাগুলো বলেছিলাম, ওদের প্রতি রাগ ছিল, আমি একটু অবসাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি তাদের (শাকিব খান ও তার পরিবার) কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ। আমি ভাগ্যবান তাদের পেয়েছি, আমার জীবনে বাবা-মায়ের ঘাটতি পূরণ করছেন...।’
শাকিব ও অপু দুজনেই যখন কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন সন্তান আব্রাহামের দেখভাল কে করেন- এমন প্রশ্নে অপু বিশ্বাস বলেছেন, তারা না থাকলে জয়ের দেখাশোনা করেন ঠাকুমা, দাদু, পিসি। একটা সময় তাদের বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু এখন সেই ভুল বুঝতে পেরেছেন তিনি। তাই তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে আগ্রহী। জয়ের মা, নাকি শাকিবের স্ত্রী হওয়া কঠিন- এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে মা হয়েছি। তাই মা হওয়াটা খুব কঠিন।’
শাকিবকে নিয়ে অপু
আপনার ও শাকিব খানের সম্পর্ক এখন ঠিক কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে, আপনারা কি বিবাহিত? সংবাদ মাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে অপু সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, সেটা এখনই বলছি না, উহ্য থাক। সময় এলে সংবাদ মাধ্যমকে জানব। তবে আগের মতো ক্ষোভ রাখতে চাই না। অপু বলেছেন, ‘আসলে আজ শাকিব যদি আমার পাশে না থাকত, তা হলে এই অপু বিশ্বাস হত না। সহ অভিনেতা হয়ে আমাকে অভিনয়ের খুঁটিনাটিতে সাহায্য করেছে সে। আমার কেরিয়ারের ৮০ শতাংশ কৃতিত্ব শাকিবের, বাকিটা আমি অর্জন করেছি। তাই ওর প্রতি সারা জীবন সেই সম্মান থাকবে।’