scorecardresearch
 

Bangladesh Durga Puja: ৫০১টি প্রতিমা, বাংলাদেশে ফিরল এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপুজো

পশ্চিমবঙ্গের মত বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামজুড়েই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসব পালন করেন। দুর্গাপুজোর ৫ দিনে প্রতিবেশী দেশটিতেও উৎসবের আমেজ লেগে থাকে। বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর কথা বললে নাম করতেই হবে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ি পুজোর। প্রতিমার সংখ্যার দিক দিয়ে এই মণ্ডপকে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মণ্ডপ বলে দাবি করেন আয়োজকরা।

Advertisement
 ফের চমক শিকদার বাড়ির পুজোয় ফের চমক শিকদার বাড়ির পুজোয়

পশ্চিমবঙ্গের মত বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামজুড়েই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসব পালন করেন। দুর্গাপুজোর ৫ দিনে প্রতিবেশী দেশটিতেও  উৎসবের আমেজ লেগে থাকে। বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর কথা বললে নাম করতেই হবে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ি পুজোর।  প্রতিমার সংখ্যার দিক দিয়ে এই মণ্ডপকে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মণ্ডপ বলে দাবি করেন আয়োজকরা।

করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর বন্ধ থাকার পর আবারও জাকজমকের সঙ্গে  দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছে বাগেরহাটের শিকদারবাড়ি। দর্শক টানতে বরাবরের মতো এবারও প্রতিমায় আনা হয়েছে নানা বৈচিত্র্য। থাকছে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগে আর্বিভূত দেব-দেবী। পুজো  মণ্ডপে সাজানো হয়েছে ৫০১টি প্রতিমা। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। 

শিকদার বাড়র এই দুর্গাপুজো ঘিরে বাংলাদেশে উন্মাদনার শেষ নেই।  শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসবের আয়োজনের খবরে দর্শনার্থী ও ভক্তদের মধ্যে আনন্দ-উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। এরিমধ্যে একনজর দেখতে তারা আসা শুরু করেছেন পুজো  প্যান্ডেলে। শান্তিপূর্ণ উৎসব উদযাপনে তৎপর রয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। 

আরও পড়ুন

বাগেরহাট জেলা পুজো  উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তাদের দাবি, হাকিমপুর শিকাদারবাড়িতে দুর্গোৎসবের এই আয়োজন পৃথিবীর সেরা। ব্যক্তি উদ্যোগে শিকদারবাড়ি পারিবারিক পুজোমণ্ডপ ছাড়া কোথাও এর চেয়ে বেশি সংখ্যক দেব-দেবীর প্রতিমা সাজিয়ে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়নি। পারিবারিক এই পুজোমণ্ডপে প্রতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন ধরে রাখতে চায়; এমন আশার কথা শুনিয়েছেন আয়োজকরা।

শিকদারবাড়িতে এবারও অনেক জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। প্যান্ডেলে বেশ কয়েকটি সারিতে আলাদা আলাদাভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। প্রতিমার প্রতিটি সারি যেন যুক্ত আছে দুর্গার মূল মণ্ডপের সঙ্গে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে প্রতিমার মাধ্যমে।  বিশাল এই পুজো প্যান্ডেলে ঘুরে দেখা গেছে, ঘোড়ায় চড়ে দুর্গার মর্ত্যলোকে আগমন এবং গমন, বিভিন্ন দেব-দেবীর সৃষ্টি রহস্য, নারায়ণের অনন্ত শয্যা, সমুদ্র মন্থন, সীতা হরণ, শ্রীকৃষ্ণের অষ্টসখী, ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য কুম্ভকর্ণ দেখা গেছে। এছাড়া প্রতিমার মাধ্যমে দেব-দেবীর নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

Advertisement

বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে শিকদারবাড়ির পারিবারিক এই পুজোমণ্ডপে ২০১১ সালে ২৫১টি প্রতিমা সাজিয়ে প্রথম দুর্গোৎসব শুরু হয়। এরপর প্রতিবছর ওই পুজোমণ্ডপে বাড়ানো হয়েছে প্রতিমার সংখ্যা। সবশেষ ২০১৯ সালে ৮০১টি দেব-দেবীর প্রতিমা সাজিয়ে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই তিন বছর শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসব বন্ধ ছিল। শুধু ধর্মীয় রীতি রক্ষায় অল্প পরিসরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। 

এবার বাগেরহাট সদর, কচুয়া ,মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা মিলে জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৫২টি পুজো ণ্ডপে দুর্গা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি সর্বজনীন পুজো  মণ্ডপে সরকারিভাবে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

Advertisement