Bangladesh Durga Puja: বাংলাদেশে নোংরামি শুরু, দুর্গাপুজো মণ্ডপে হামলা, ভাঙা হল প্রতিমা

বাংলাদেশের নেত্রকোণায় দুর্গাপুজো প্যাণ্ডেলে হামলার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মণ্ডপে দুর্গামূর্তি ভাঙচুরেরও অভিযোগ। মাঝ রাতে প্যাণ্ডেল ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

Advertisement
বাংলাদেশে নোংরামি শুরু, দুর্গাপুজো মণ্ডপে হামলা, ভাঙা হল প্রতিমাবাংলাদেশের দুর্গাপুজোয় ফের হামলার অভিযোগ
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশে ফের দুর্গামণ্ডপে হামলার অভিযোগ
  • প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ তোলা হয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে
  • ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার কালীবাড়িতে

পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পশ্চিমবঙ্গের মত বাংলাদেশের হিন্দুরাও বছরের এই সময়টা হইহই করে উদযাপন করেন। ওপার বাংলাতেও চলছে দুর্গোৎসবের আয়োজন। তবে এসবের মাঝেই ফের সেখানে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হল। অভিযোগ, মাঝ রাতে বাংলাদেশের নেত্রকোণার কান্দুলিয়া কালীবাড়িতে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। 

জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর জন্য অস্থায়ী মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। রাতে কাজ শেষের পর কাপড় এবং ত্রিপল দিয়ে মূর্তি ঢেকে রাখা হয়েছিল। পুজোর আগে বাকি কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল ওই কান্দুলিয়া কালীবাড়ির পুজো মণ্ডপে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সেখানে। 

হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার লাগাতার বেড়েছে বলেই অভিযোগ। দিনে দুপুরে হিন্দুদের বাড়িতে ও তাঁদের মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও ইউনূস সরকারের কোনও হেলদোল নেই। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের কথা কার্যত স্বীকারই করে না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। 

এদিকে, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো পালনের ক্ষেত্রে সম্প্রতি আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এই নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন,'দুর্গাপুজোর সময়ে নাশকতা হতে পারে। মণ্ডপ বানানোর সময় কেউ ভাঙচুর করতে পারে। যদি করে দুষ্কতীরাই করবে।'

গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ইউনূস ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। হিন্দুদের সঙ্গে জনসংযোগের উদ্দেশেই ইউনূস ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। সেখানে হিন্দুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ে পুজোর প্রস্তুতির কথাও জিজ্ঞাসা করেন। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে বারবার হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সমালোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। এই আবহে ইউনূসের ঢাকেশ্বরী মন্দির সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দাঁড়িয়ে বলেন, 'আমাদের যতই ধর্মীয় পার্থক্য থাকুক,মতের পার্থক্য থাকুক। রাষ্ট্র সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য দায়িত্ববদ্ধ। যে যে ধর্মেই বিশ্বাস করুক, রাষ্ট্রের কাছে সকল নাগরিকই সমান। রাষ্ট্র সকলকে সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ।' ফলে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশি হিন্দুদের মধ্যে। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement