চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ বাংলাদেশ সরকারের। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু চিন্ময় দাস নয়, ইসকনের সঙ্গে যুক্ত আরও ১৬ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ৩০ দিনের জন্য ফ্রিজ করার নির্দেশ এসেছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে। এক মাসের জন্য এসব অ্যাকাউন্টে সব ধরনের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রথম আলো পত্রিকা জানিয়েছে। এই ১৭ জনের মালিকানাধীন সব ধরনের অ্যাকাউন্টের লেনদেন-সহ সমস্ত ডিটেলস ৩ দিনের মধ্যে পাঠাতে বলেছে বিএফআইইউ। সমস্ত ব্যাঙ্ক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মী ও হিন্দু নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চিন্ময় দাস বাংলাদেশ ইসকন-র প্রাক্তন মুখপাত্র। তাঁর সঙ্গে বর্তমানে তাদের 0কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছিল ইসকন কর্তৃপক্ষ।
এনিয়ে বিতর্ক শুরু হতেও যদিও চিন্ময়ের পাশে দাঁড়িয়ে ফের বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসকন। চিন্ময়কষ্ণ দাস যে ISKCON-এর প্রাক্তন সদস্য, তা বরাবরই স্পষ্ট করা হয়েছিল ISKCON-এর তরফে। বিতর্ক তৈরি হয়, যখন বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে বলা হয়, চিন্ময়কৃষ্ণ ইসকন-এর সদস্য নন, তাই তাঁর কোনও কাজের দায় ইসকন নিচ্ছে না। শুক্রবার নতুন করে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে না তারা। চিন্ময়ের কর্মকাণ্ডে ইসকনের সমর্থন রয়েছে। নতুন বিবৃতিতে ISKCON-এর তরফে জানানো হয়েছে, 'হিন্দু ও হিন্দুদের প্রার্থনাস্থলের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস, তা সমর্থন করে ইসকন ও কোনও রকম দূরত্ব বজায় রাখছে না। আমরা শুধু একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। গত কয়েক মাসে এই কথা একাধিক বার আমরা বলেছি।' এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য আন্দোলন করছে যে সব ধর্মীয় বা সনাতনী সংগঠন, সেই সব সংগঠনকেও ইসকন সমর্থন করে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।