বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নিপীড়নের নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসেছে। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর থেকেই অশান্ত ওপার বাংলা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাকিস্তান-প্রীতি মনোভাব প্রকাশ্যে এল। যা ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানকে নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেদেশে ভিসা নিয়ে যেতে পাক নাগরিকদের আর কঠোর নিয়মকানুনের মুখোমুখি হতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের ভিসা পেতে গেলে পাক নাগরিকদের নিরাপত্তার ছাড়পত্রের প্রয়োজন হত। এবার থেকে তা আর লাগবে না। অর্থাৎ, পাক নাগরিকদের ভিসার নিয়মে শিথিল করল ইউনূস সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে যতদিন শেখ হাসিনার সরকার ছিল, ততদিন সে দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না। ১৯৭১ সালে অত্যাচারের জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করে হাসিনার দল। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হাত রয়েছে বলে দাবি করে হাসিনা শিবির।
গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই ওপার বাংলায় নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। অভিযোগ, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে। সম্প্রতি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর থেকেই নতুন করে অশান্ত ওপার বাংলা। এই আবহে এবার পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের এমন প্রীতি-ভাব ভারতকে ভাবাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। প্রায় ৪ হাজার কিমি সীমান্ত এলাকা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম ও মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তানকে নিয়ে ইউনূস সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে সীমান্ত জঙ্গি উপদ্রব বাড়তে পারে।