Suchitra Sen: বাংলাদেশ থেকে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি মুছে দিল ইউনূস সরকার, বদলে ফেলা হল হস্টেলের নাম

Suchitra Sen: গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। কোটা আন্দোলন ঘিরে গোটা দেশজুড়ে চড়েছে উত্তেজনার পারদ। বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর হাসিনা পরবর্তী অধ্যায়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছেন সবাই।

Advertisement
বাংলাদেশ থেকে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি মুছে দিল ইউনূস সরকার, বদলে ফেলা হল হস্টেলের নামসুচিত্রা সেনের নামে থাকা হস্টেলের নাম বদলে গেল
হাইলাইটস
  • এই খবর সামনে আসতেই সুচিত্রা সেনের অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। কোটা আন্দোলন ঘিরে গোটা দেশজুড়ে চড়েছে উত্তেজনার পারদ। বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর হাসিনা পরবর্তী অধ্যায়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছেন সবাই। এবার ইউনুস শাসনকালে আরও একবার সেই বিদ্বেষের প্রমাণ পাওয়া গেল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, পাবনার সরকারি কলেজ এডওয়ার্ডের এক ছাত্রী আবাসের নাম ছিল সুচিত্রা সেনের নামে। আর সেই হস্টেলের নাম এবার বদলে করা হল ‘জুলাই–৩৬ ছাত্রীনিবাস’। 

প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কলেজের নাম আগে ছিল সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস। আসলে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই ছাত্রী নিবাসের নাম তাঁর নামে করা হয়। এডওয়ার্ডে কলেজের ছাত্রী নিবাসের পরিবর্তিত নাম এখন ‘জুলাই- ৩৬ ছাত্রীনিবাস’। এরই সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দুটি হলের নামও বদলে দেওয়া হল। 

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিঞা নাম পরিবর্তন করা তিনটি ছাত্র ও ছাত্রী নিবাসের নতুন নামফলক উদ্বোধন করেন। সেখানেই জ্বলজ্বল করছে নতুন নামগুলি। শেখ রাসেল হস্টেলের নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘বিজয়-২৪ ছাত্রবাস’। এবং বে্গম ফজিলাতুন্নেসা হস্টেলের নতুন নামকরণ হয়েছে ‘আয়েশা সিদ্দিকা’। এদিকে পাবনার ভূমিকন্যা সুচিত্রা সেনের নাম তুলে নতুন নামকরণ করায় ইতিমধ্যেই একাংশ ক্ষুব্ধ।

এই খবর সামনে আসতেই সুচিত্রা সেনের অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, পাবনা জেলা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি ছিল। এই বাড়িতে তিনি মা-বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন। শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন মিসেস সেন এই বাড়িতেই। তবে ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে আসেন। 

১৯৬০ সালে বাবা করুনাময় দাশগুপ্ত বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে কলকাতায় যান। এরপর বাড়িটি দখল হয়ে যায়। ২০০৯ সাল থেকে পাবনাবাসী বাড়িটি দখলমুক্ত করতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০১৪ সালে বাড়িটি দখলমুক্ত হয়। বর্তমানে বাড়িটিতে পাবনা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে। বার কিংবদন্তী অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তন করে ফেলল ইউনুস সরকার। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement