Bangladesh News: মাইনে দেওয়ার টাকা নেই-সরকারি কর্মীদের হরতাল, বাংলাদেশে 'গৃহযুদ্ধ' পরিস্থিতি?

সরকারি কর্মচারী, চুক্তিভিত্তিক কর্মী থেকে শুরু করে প্রাইমারি শিক্ষক, পথে নেমে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল সকলেই। চলছে কর্মবিরতি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চাপের মুখে স্বীকার করছেন, দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি।

Advertisement
মাইনে দেওয়ার টাকা নেই-সরকারি কর্মীদের হরতাল, বাংলাদেশে 'গৃহযুদ্ধ' পরিস্থিতি?বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের হরতাল
হাইলাইটস
  • সরকারি কর্মচারী, চুক্তিভিত্তিক কর্মী, প্রাইমারি শিক্ষকরা কর্মবিরতি ডেকেছেন
  • বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি
  • যুদ্ধের মতো অবস্থা বলে উল্লেখ করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত বাংলাদেশ। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগুলি নিয়ে অসন্তোষ নাগরিক সমাজ এবং বাণিজ্য মহল। শুরু হয়েছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। ঢাকা শহরে বাড়তে শুরু করেছে অশান্তির আঁচ। চূড়ান্ত অরাজগতার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। 

প্রসিদ্ধ একটি বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতা শওকত আজিজ রাসেল বলেন, '১৯৭১ সালে যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের খুন করা হয়েছিল, এবার তেমন ভাবেই ব্যবসায়ীদের ভাতে মারা হচ্ছে। অধিকাংশ লোক রোজগারহীন।' বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যক্ষ রাসেল ব্যবসায়িক সমিতির একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আমরা জানি না ইদ-উল-আজহার আগে শ্রমিকদের বোনাস এবং বেতন দিতে পারব কি না।'

এর মাঝেই সরকারি কর্মচারীরা লাগাতার দু'দিন ধরে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে বিরোধ প্রদর্শন করছেন। প্রস্তাবিত সরকারি সেবা (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ আইনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ চলছে। এই প্রস্তাবিত আইন ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। এই আইন প্রবর্তন হলে যে কোনও মুহূর্তে সরকারি কর্মচারীদের কড়া শাস্তি এবং কাজ থেকে বরখাস্ত করা প্রশাসনের কাছে অতি সহজ হয়ে যাবে। 

চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও গত দু'দিন ধরে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বোর্ডও অন্য একটি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকা হয়েছে সোমবার থেকে। 

এদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁদেরও রয়েছে ৩টি দাবি। ১১ গ্রেড অনুযায়ী বেতন না পেলে কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। 

ফলে সব দিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণে পড়ে গিয়েছে ইউনূস সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বলতে বাধ্য হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি চলছে। প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউনূসের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, 'দেশের ভিতরে এবং বাইরে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা এগোতে পারছি না। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং ফের গোলামি করার মতো পরিস্থিতির দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যখন থেকে আওয়ামি লিগের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তখন থেকে দেশকে অস্থির করে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে। এই অধঃপতন থেকে বাঁচতে হবে আমাদের।'

Advertisement

নির্বাচনের জন্য আরও ৬ মাসের সময়সীমা চেয়ে নিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। চলতি বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন করানো হবে। প্রথমে যদিও ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করানোর কথা বলেছিলেন তিনি। আগামী বছর ৩০ জুনের পর তিনি নিজের পদে আর থাকবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন ইউনূস। তার আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বাংলাদেশে। এ প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। 

 

 

POST A COMMENT
Advertisement