বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। তাদের অধিকার নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সদর্থক নয়, এই অভিযোগে ঢাকার রাস্তায় নামল হিন্দুরা। সংখ্যালঘুদের দাবি, হাসিনা সরকার বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে সেই দেশে হিন্দুরা নিরাপদ নয়।
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে সেই দেশের হিন্দুদের মধ্যে অত্যাচার বাড়ে বলে অভিযোগ। শোনা যায়, হিন্দুরা বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের সমর্থক ছিলেন। সেই কারণে, হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই দেশে হিন্দুরা আর নিরাপদ নয়।
শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকার গঠিত হয়। যার প্রধান করা হয় নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতির থেকেও ধর্মকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘুদের দাবি, এই সরকার এক চোখা নীতিতে বিশ্বাসী। হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে সেহেতু।
হিন্দুদের এও দাবি, বাংলাদেশে ইউনুস সরকারকে ক্ষমতায় আনার কারণ ছিল সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা। গণতান্ত্রিক পদ্বতিতে নির্বাচন যাতে হয় সেদিকে জোর দেওয়াও এই সরকারের লক্ষ্য থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।
চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী নামে এক প্রতিবাদী বলেন, 'মহম্মদ ইউনুসের সরকার সংখ্যালঘুদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। এটা দুর্ভাগ্যের। আমাদের চোখের সামনে হিন্দুদের উপর অত্য়াচার করা হচ্ছে। তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। অথচ এই সরকার চুপ।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ হিন্দু। হাসিনা সরকারের আমলেও তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। তবে এই সরকার আসার পর সেই আক্রমণ বেড়়েছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামে সরকার বিরোধী অবস্থান করেছিল হিন্দুরা। নিজেদের অধিকার সুরক্ষিত করতে কয়েক দফা দাবিও রাখে তারা। তবে সরকার সেই দাবি মানেনি বলে অভিযোগ। তারপরই ঢাকা শহরে সমবেত হয় তারা।