scorecardresearch
 

Bangladesh Durga Puja: দুর্গাপুজোয় সরকারি বরাদ্দ বাড়ালেন ইউনূস, তবু বাড়ছে উদ্বেগ, কেন?

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে নতুন বাংলাদেশে কি দুর্গাপুজো হবে? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই। যখন উদ্বেগে সবাই, তখন মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গাপুজো হবে। পাশাপাশি দুর্গাপুজোর জন্য প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বরাদ্দের প্রায় দ্বিগুণ বলে দাবি করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

Advertisement
কত দুর্গাপুজো হচ্ছে এবার বাংলাদেশে কত দুর্গাপুজো হচ্ছে এবার বাংলাদেশে

শেখ হাসিনা সরকারের  পতনের পরই বাংলাদেশে হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে  নতুন বাংলাদেশে কি দুর্গাপুজো হবে? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই।  যখন উদ্বেগে সবাই, তখন মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গাপুজো হবে। পাশাপাশি  দুর্গাপুজোর জন্য প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বরাদ্দের প্রায় দ্বিগুণ বলে দাবি করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

পুজোর সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী ভাবে বজায় রাখা হবে, কী ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি বৈঠক হয়। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মন্দির কমিটিগুলির জন্য এ বার প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে।  তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে যেন দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পুজো  উদযাপন করতে পারে, সেজন্য অসচ্ছল মন্দিরসমূহের অনুকূলে এবার প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চলতি সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল যে প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজো হবে। বিগত কয়েক বছরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা চালানোর মতো যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তা এড়ানোর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো  নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবারই পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, যারা মণ্ডপ পাহারা দেবেন। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুজোর সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদেরই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন শিফটে তাদের এই দায়িত্বভার দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মসজিদে আজানের সময় মণ্ডপে ঢাক-ঢোল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজানের ৫ মিনিট আগেই মাইক ও যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ করতে হবে। আজান শেষের পরই ফের মাইক বা ঢাক বাজানো যাবে। এর আগে ধর্মীয় বিষয়ক পরামর্শদাতা খালিদ হোসেনও জানিয়েছিলেন, মণ্ডপে যাতে কোনও হামলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাজার পড়ুয়ারা মণ্ডপ পাহারা দেবে।

আরও পড়ুন

Advertisement

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর সময় নিরাপত্তায় আকাশে হেলিকপ্টার থাকবে। দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ডুবুরি থাকবে। এবছর বাংলাদেশে  দুর্গাপুজোয় মণ্ডপের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি ও উত্তর সিটিতে ৮৮টি মণ্ডপ হবে। সবমিলিয়ে ঢাকায় ২০৫টি মণ্ডপে পুজো উদযাপন হবে।  এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে পুজো  মণ্ডপের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে তা সরকারি বা পুজো উদযাপন পরিষদের তালিকা নয়। এটি একটি সম্ভাব্য তালিকা। গত বছর মোট পুজো  মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১।

হিসেব বলছে গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে এক হাজারের বেশি পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা পুজো উদযাপন পরিষদের নেতাদের। কারণ দেশের হিন্দু প্রধান এলাকায় গিয়ে পুজো ও ধর্মীয় আচরণ বন্ধ করার ফতোয়া দিয়েছে বিনএপি-জামায়াত ইসলামীর মতো মৌলবাদী দলগুলি। 

Advertisement