ফের চিন সফর ভারত বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাত ইসলামির। সংগঠনের প্রধান শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল চিন সফরে রয়েছে। একমাসের মধ্যে এটা দ্বিতীয় চিন সফর তাদের। ওই মৌলবাদী সংগঠনের ঘন ঘন চিনে যাতায়াতকে ভালো ইঙ্গিত বলে মনে করছেন না আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। চিন-জামাত সখ্যতা বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য আদৌ ভালো ইঙ্গিত নয়, বলেই মত তাঁদের। করছেন তাঁরা।
এর আগে ঢাকায় স্থিত তাদের দূতাবাসে জামাত নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চিন। যা মোটেও ভালো ইঙ্গিত নয় ভারতের জন্য। কারণ,জামাত প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী কথা বলে থাকে। চিন সেক্ষেত্রে জামাতকে ভারত বিরোধী কার্যকাপে উস্কানি দিতে ব্যবহার করতে পারে। যদিও এনিয়ে ভারত বা বাংলাদেশের সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
জামাত এমনিতেই বাংলাদেশের আসন্ন ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব করার দাবি জানিয়েছে। গত ১৯ জুলাই ঢাকায় প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে এই নিয়ে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে। শুধু তাই নয়, ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামাতে ইসলামি জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার এবং সংসদকে ইসলামী বিধি-বিধান অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
সূত্রের খবর, জামাত তথা মৌলবাদী নেতারা বাংলাদেশের সরকারকে ইসলামি রীতি মেনে কাজ চালানোর জন্য চাপও দিচ্ছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে সাহায্য করে বাংলাদেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে চলেছে চিন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জামাতের বাড়বাড়ন্ত দক্ষিণ এশিয়ার মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোকে একজোট করতে পারে। যদিও সূত্রের খবর, ভারতের গোয়েন্দারা জামাতের কার্যকলাপ, চিনের অবস্থানকে নজরে রাখছেন।
এক বছর আগে পর্যন্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং দেশবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাত ইসলামি নিষিদ্ধ ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এখন তো তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। প্রকাশ্য সভাও করছে ঢাকায়। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হয়তো মহম্মদ ইউনূসের সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কারণেই জামাত এখন বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। আর সেই কাজে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন।