Bangladesh ISKCON Ban: ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবি বাংলাদেশে, সব বড় শহরে সভা কট্টরপন্থীদের

ফের বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ISKCON) এর উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি। এটি একটি 'চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন' বলে অভিযোগ করছে ইসলামপন্থীরা।

Advertisement
ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবি বাংলাদেশে, সব বড় শহরে সভা কট্টরপন্থীদেরISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবি বাংলাদেশে
হাইলাইটস
  • ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ISKCON) এর উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি
  • এটি একটি 'চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন' বলে অভিযোগ করছে ইসলামপন্থীরা
  • বিশাল ইসলামপন্থীদের জমায়েত দেখা গিয়েছে

ফের বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ISKCON) এর উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি। এটি একটি 'চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন' বলে অভিযোগ করছে ইসলামপন্থীরা।

শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বড় বড় শহরগুলির রাস্তায় বিশাল ইসলামপন্থীদের জমায়েত দেখা গিয়েছে। সেখান থেকেই ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে।

আসলে একটি রিট পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় ইসকনকে একটি 'ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন' বলে জানায় মহম্মদ ইউনূস নের্তৃত্বাধীন সরকার। আর এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির এবং ইসকন কেন্দ্রগুলিতে হামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইসকনের প্রাক্তন সদস্য কৃষ্ণ দাস প্রভুর কারাবরণ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই বার ধর্মীয় সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল।

আসলে মহম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের হত্যা এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে। এমনকী প্রকাশ পাচ্ছে প্রতিবেদন। যদিও সেই দাবিগুলিকে মিথ্যে বলছে সরকার। বরং ইসলামপন্থী দলগুলি রাষ্ট্রের সাহায্যে বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর।

বিরাট সমাবেশ হয়েছে

শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বাইরের সমাবেশে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ ৬টি দাবি তুলে ধরে। আর তারই একটি ছিল ইসকনের উপর নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি এই ধর্মীয় সংস্থার উপর তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী এবং আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানি বলেছেন, 'ইসকন কোনো হিন্দু সংগঠন নয়। এটি ইহুদিদের দ্বারা সৃষ্ট একটি চরমপন্থী সংগঠন।' আর তাঁর বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে ঢাকার বাংলা দৈনিক দেশ রূপান্তরের এক প্রতিবেদনে।

তিনি আরও বলেন, 'তারা একের পর এক অপরাধ করছে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।'

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দি ছিলেন সন্ত্রাসী রহমানি। তবে ২০২৪ সালে আগস্টে ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর তিনি মুক্তি পান।

Advertisement

ও দিকে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের সদস্য আহমেদ রফিক বলেন, 'যখন একজন ইমাম ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন তাকে অপহরণ করা হয়, শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। তবুও রাষ্ট্র নীরব থাকে, অপরাধীদের বিচার এড়াতে দেয়...'

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ কী বলবেন সেই দিকে চোখ নেই। বরং কর্তৃপক্ষ পশ্চিম, আমেরিকা, বামপন্থী বা বিদেশি দূতাবাস কী বলবে তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।

এছাড়া চট্টগ্রামে, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেটে জুম্মার নামাজের পর সমাবেশ করেছে। তারাও 'ইসকনের উপর নিষেধাজ্ঞা' দাবি করেছে।

POST A COMMENT
Advertisement