scorecardresearch
 

Bangladesh: বাংলাদেশে থানার ভিতর হিন্দু নাবালককে গণপিটুনি, শঙ্কিত সংখ্যালঘুরা

বাংলাদেশে সরকার বদলের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা অব্যাহত। প্রতিদিনই আসছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও মন্দিরে হামলার খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী খুর্জার সোনাডাঙার বাসিন্দা এক ১৫ বছর বয়সী নাবালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। তথ্য অনুযায়ী, এই শিশুটির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নবী মহম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়।

Advertisement
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুকে গণপিটুনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুকে গণপিটুনি

বাংলাদেশে সরকার বদলের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা অব্যাহত। প্রতিদিনই আসছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও মন্দিরে হামলার খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী খুর্জার সোনাডাঙার বাসিন্দা এক ১৫ বছর বয়সী নাবালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। তথ্য অনুযায়ী, এই নাবালকের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নবী মহম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়।

থানায় নিয়ে এসে মারধর করা হয়
বাংলাদেশি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরে পুলিশ ইন্ডিয়া টুডে-র সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যে সে এখনও বেঁচে আছে এবং চিকিৎসাধীন রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মহম্মদ তাজুল ইসলাম ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ওই নাবালককে সেনাবাহিনীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি এখন বিপদমুক্ত।

ঠিক কী হয়েছিল?
বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা জানা গেছে। ইসলাম ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি দল বুধবার এক কিশোরকে থানায় নিয়ে এসেছিল। এই নাবালক ফেসবুকে নবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। ওই নাবালককে সোনাডাঙায় উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন

মারতে চেয়েছিল...
জেলা প্রশাসক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে নাবালককে বিদ্যমান আইনে শাস্তি দেওয়া হবে, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাবে অসম্মতি জানায় এবং বলে যে তারা তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী বিচার চায়, শেষে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।

সেখানে হাজারও মানুষের ভিড় ছিল
ওই কর্মকর্তা জানান, ধীরে ধীরে হাজার হাজার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও করে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপর উত্তেজিত জনতা ওই নাবালককে মারধর করে। এরপর মসজিদের লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় যে, নবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যকারীকে হত্যা করা হয়েছে। এর পর উত্তেজিত জনতা সেখান থেকে চলে যায়। তবে, কর্মকর্তারা পরে বলেছিলেন যে নাবালকের চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

TAGS:
Advertisement