ভারতের সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশিরা। ভারতীয় সীমান্তে আটসাঁট নিরাপত্তা। আসলে আজ থেকে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (Bangladesh National Party)। এই লংমার্চের নাম দেওয়া হয়েছে 'ঢাকা টু আখাউড়া লং মার্চ'।
বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতারা। পদযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। সম্প্রতি ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ সময় রুহুল কবির রিজভী আজ আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন।
রিজভি বলেন, 'আপনারা যদি চট্টগ্রাম দখল করেন, তাহলে আমরা বিহার ও ওড়িশা চাইব কারণ সবই আমাদের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার।' শেখ হাসিনা ভারতকে অনেক চুক্তি বিনামূল্যে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রিজভি। তাঁর অভিযোগ, আদানি বেশি দামে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।
রিজভির আরও অভিযোগ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা প্রকল্প সফল হতে দিচ্ছেন না। আগে আমি ভেবেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভালো নেত্রী কিন্তু এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে মোদী এবং মমতা একই মুদ্রার দুই পিঠ।'
সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিএনপি কর্মীরা। ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তিন সংগঠনের হাজার হাজার সমর্থক ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে মিছিল করেছে। এতে বিএনপির তিনটি সংগঠন অংশ নেয়- ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি), যুব সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল (জেজেডি) ও স্বেচ্ছাসেবক শাখা জাতীয়তাবাদী শেখসেবক দল (জেএসডি)।
ঢাকার রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিন সংগঠনের কর্মীরা জড়ো হয়েছিল সেদিন। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের একদিন আগে এই বিক্ষোভ হয়।