বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের তাণ্ডবরক্তাক্ত বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে নৃশংস ভাবে খুনের পর দেহ গাছে বেঁধে পোড়ানোর ঘটনায় শিউরে উঠেছে বিশ্ব। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর নড়েচড়ে বসল ইউনূস প্রশাসন। বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের তরফে জানানো হল, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যে ব্যক্তিদের পাকড়াও করা হয়েছে তারা হল মহম্মদ লিমন সরকার, মহম্মদ তারেক হুসেন, মহম্মদ মানিক মিয়া, এরশাদ আলি, নিঝুম উদ্দিন, আলমগীর হুসেন ও মহম্মদ মিরাজ হুসেন আকন। এদের মধ্যে লিমন সরকার ও মহম্মদ তারেক হুসেনের বয়স ১৯, মানিক মিয়া ও নিঝুম উদ্দিন বয়স রয়েছে ২০। বাকি তিন ব্যক্তিদের বয়স ৩৫ থেকে ৫০-এর মধ্যে।
বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, RAB-১৪ বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন চালানোর পর এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ঘটনায় আরও বেশি ব্যক্তি জড়িয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
কী ঘটনা ঘটেছিল?
গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে গুলিবিদ্ধ হয় ওসমান হাদি। প্রাথমিকভাবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হলে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় এভারকেয়ার হসপিটালে। কিন্তু সেখানেও তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়নি। এরপর তাকে গত শনিবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে কট্টরপন্থীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। বৃহস্পতিবার গোটা রাত বাংলাদেশজুড়ে হিংসা চলেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যমের অফিস। মারধর করা হয়েছে সাংবাদিকদের। ওই রাতেই ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় হিন্দু ধর্মের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল ব্যক্তি। মৃত যুবকের নাম দীপু চন্দ্র দাস। তিনি একটি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন। খুনের পর ওই যুবকের মরদেহ গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। গোটা ঘটনায় শিহরিত হয়ে ওঠে সারা বিশ্বের মানুষ। এরপর শনিবার বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে।