scorecardresearch
 

Bangladesh: একাত্তর ভুলে পাকিস্তানের থেকে অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ, দুই দেশের কী চুক্তি হল?

বছরের পর বছর চলা শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের সাথে নতুন অস্ত্র চুক্তি করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হলেও, বর্তমানে সেই শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনছে।

Advertisement
পাকিস্তানের মিসাইল।-প্রতীকী ছবি পাকিস্তানের মিসাইল।-প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • বছরের পর বছর চলা শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের সাথে নতুন অস্ত্র চুক্তি করছে।
  • পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হলেও, বর্তমানে সেই শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনছে।

বছরের পর বছর চলা শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের সাথে নতুন অস্ত্র চুক্তি করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হলেও, বর্তমানে সেই শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে বখতার শিকান অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নির্যাতনের স্মৃতি এখন অনেকটাই অতীত হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

বখতার শিকান মিসাইল কেনার কারণ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের আক্রমণ ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে পাকিস্তান থেকে এই বখতার শিকান অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সংগ্রহ করছে। এই মিসাইলটি মূলত চিনের তৈরি নরিনকো এইচজে-৮ মিসাইলের একটি সংস্করণ, যা পাকিস্তানে লাইসেন্স নিয়ে উৎপাদিত হয়। এটি অপটিক্যাল এবং ইনফ্রারেড ট্র্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। মিসাইলটি ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এক নতুন শক্তি যোগাবে।

বখতার শিকান মিসাইলের বৈশিষ্ট্য
বখতার শিকান ATGM মূলত একটি ট্রাইপড মাউন্টেড মিসাইল লঞ্চার, যা দূরবর্তীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি তারের মাধ্যমে নির্দেশিকা সংকেত পাঠায় এবং উচ্চ-বিস্ফোরক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক (HEAT) ওয়ারহেড দিয়ে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে সক্ষম। মিসাইলটির দৈর্ঘ্য ৫.১৩ ফুট এবং ব্যাস ৪.৭২ ইঞ্চি। পুরো সিস্টেমটির ওজন ২৫০ কেজি, যা সহজেই সরিয়ে নেওয়া সম্ভব এবং এটি মূলত ট্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি।

আরও পড়ুন

ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?
এই চুক্তি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে মনে হলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের এই নতুন সংগ্রহকে মোকাবিলা করতে যথেষ্ট। ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে আরও হালকা, দ্রুত এবং উন্নত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল রয়েছে, যা পাকিস্তানি মিসাইলের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। ফলে বাংলাদেশের এই নতুন অস্ত্র সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতে তেমন বড় কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বাংলাদেশের এই অস্ত্র সংগ্রহ মূলত তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। অতীতের শত্রুতা ভুলে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র কেনার এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের একটি নতুন দিক উন্মোচন করছে। তবে, এটি ভারতের জন্য কতটা গুরুত্ব বহন করবে তা সময়ই বলে দেবে।

 

TAGS:
Advertisement