ইউনূস হায়দর সাক্ষাৎ।ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেই চলেছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। রাজনৈতির সভাসমাবেশ থেকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। চলছে ভারতবিরোধী স্লোগান। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় দু'দেশের সম্পর্ক শীতল থেকে শীতলতর হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে রবিবার ঢাকায় ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিমান চলাচলে সহযোগিতা ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথাও হয়েছে ওই বৈঠকে।
বিগত ঘটনাক্রমেই স্পষ্ট, ইউনূস জমানায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কাছাকাছি এসেছে। ঢাকায় যেভাবে ভারত বিরোধিতায় হাওয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাতে ইসলামাবাদের উৎফুল্ল হওয়ারই কথা। এ দিন ঢাকার অতিথি ভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের বৈঠক হয়। পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে। সাংস্কৃতিক বিনিময়ও বেড়েছে বলে দাবি করেন। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞান, ন্যানো প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।
হায়দার আরও বলেন,'লিভার এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পাকিস্তানের সেরা হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্পর্কিত চিকিৎসায় বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষায় সুযোগ দেওয়ার জন্য রাজি পাকিস্তান। জানুয়ারিতে ঢাকা-করাচি সরাসরি উড়ান শুরু হবে বলে আশা করছেন পাক হাইকমিশনার।
দুই দেশের ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউনূস। সার্ক সদস্য দেশগুলির মধ্যে সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং জনসাধারণের মধ্যে মতের বিনিময়ের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার রয়েছে বলেও মনে করেন ইউনূস। তাঁর আশা, হায়দারের জমানায় দুই দেশ বিনিয়োগ এবং যৌথ ব্যবসার জন্য নতুন পথ খুঁজে বের করবে।