Bangladesh: মুক্তিযুদ্ধ ফিকে? চট্টগ্রামে এই প্রথম পাকিস্তানি জাহাজ, ভারত যা বলল

পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি নোঙর করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। 'এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং' জাহাজে কী কী আনা হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় বাংলাদেশে।

Advertisement
মুক্তিযুদ্ধ ফিকে? চট্টগ্রামে এই প্রথম পাকিস্তানি জাহাজ, ভারত যা বলল বাংলাদেশে পাকিস্তানি জাহাজ
হাইলাইটস
  • পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি নোঙর করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
  • এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং' জাহাজে কী কী আনা হয়েছে?

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টায় ঢাকা? ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের উপকূলে থামল। গত সপ্তাহে করাচি থেকে একটি জাহাজ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে নোঙর করে। যা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে উঠছে নানা প্রশ্নও।    

পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি নোঙর করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। 'এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং' জাহাজে কী কী আনা হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় বাংলাদেশে। সে দেশের শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া জাহাজে ছিল শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। যার ওজন ৬ হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি প্রতিষ্ঠান পাঠিয়েছিল ওই পণ্য। পোশাক শিল্পের কাঁচামাল সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ ছিল পণ্যবাহী জাহাজে। এছাড়া আমদানি করা হয়েছে খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। সেই সঙ্গে রয়েছে চুনাপাথর ও ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট। এছাড়া পেঁয়াজ রয়েছে ৬১১ টন।   

ভারতের প্রতিক্রিয়া

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। যা বাংলাদেশের বিদেশনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবেই দেখছে কূটনৈতিক মহল। দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সম্পর্ক নিয়ে নয়াদিল্লির কী মনোভাব? ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মা জানান,'ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নানা বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। তা কোনও নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না'।

ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) একটি অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেন প্রণয়। সোমবার তিনি বলেন,'আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উত্থান-পতন সত্ত্বেও ইতিবাচক গতি ধরে রেখেছে। এর সঙ্গে যাতায়াত ও জ্বালানির সংযোগও রয়েছে। দুই দেশের মানুষের পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভরশীল নয়'।  
 
তিনি আরও বলেন,'বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন করে যাবে ভারত। যা দুই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য মঙ্গলজনক। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত ও সক্ষম'।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement