বাংলাদেশে বিমার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ ও শোক। এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মঙ্গলবার রাতে নতুন করে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ৯ বছরের ওই নাবালকের নাম নাফি। অগ্নিকাণ্ডের জেরে তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সোমবার দুর্ঘটনার পর থেকেই সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
শুধু নাফি নয়, ওরকম আরও অনেক শিশু ভর্তি রয়েছে ঢাকার একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। সংখ্যাটি কমপক্ষে ৬৯। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারও পুড়েছে শরীরের ৮০ শতাংশ কারও বা কিছুটা কম। তবে আশার কথা, অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছেন। বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, অগ্নিগদ্ধ রোগীদের সুচিকিৎসার সমস্ত রকমের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের উপর ক্ষোভ বেড়েই চলেছে আম জনতার। বুধবার নতুন করে আন্দোলন বা প্রতিবাদ না হলেও যে কোনও সময় রাস্তায় নামতে পারে ছাত্র-যুবরা, সেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। সেজন্য রাস্তা-ঘাটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে যে স্কুলে এই দুর্ঘটনা ঘটে সেই মাইলস্টোন স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার জেরে কতজন আহত, তারা কোথায়-কোন হাসপাতালে ভর্তি, কতজন মারা গিয়েছে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে। সেই স্কুলের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, 'দুর্ঘটনার ফলে অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবক আহত হয়েছেন। কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত, আহত ও নিখোঁজদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করতে একটি কমিটি গড়া হচ্ছে।'
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন ঘটনার এতটা সময় পরে কমিটি গঠন করল সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, 'তাহলে কি মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা লুকোনোর জন্যই এত দেরি করে পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ?' আবার কেউ লিখেছেন, 'মৃতের সঠিক সংখ্যা কত, কতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন- এনিয়ে তো সরকারের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি জারি করা উচিত ছিল। কেন সাধারণ মানুষকে ধোঁয়াশায় রাখা হচ্ছে।'