Bangladesh News: বাংলাদেশের রাজপথে আবারও বিশৃঙ্খলা, উত্তেজনা। ফের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রেরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমা চাইতে উপেক্ষা করায় বিক্ষোভে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সরকারের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে অনেক শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাঁদের নেতাদের মুক্তির দাবি করছে। সরকার আন্দোলনরত ছাত্রনেতাদের গ্রেফতার করে জেলবন্দি করেছিল।
দেশের অস্থিরতার জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে ডেডলাইন দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। যা সরকার উপেক্ষা করায় আবারও বিক্ষোভ শুরু করে তাঁরা। এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সরকার প্রথমবার স্বীকার করে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে প্রায় ১৫০ জন নিহত হয়েছে। সরকার দেশব্যাপী শোক ঘোষণা করে।
বিক্ষোভ দমনে সেনা নামানো হয়
সম্প্রতি বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় সরকার চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমন করতে সেনাবাহিনীকে নামায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত হয়। অস্থিরতায় পুলিশ সহ কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে এবং বড় বড় সরকারি বিল্ডিংগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মেহবুব হুসাইন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আজ, মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে। তিনি জনগণকে কালো ব্যাজ পরার আহ্বান জানান।
মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানো হয়েছে
১০ দিন আগে মোবাইল ইন্টারনেট এবং প্রধান সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সারা দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে। বিক্ষোভ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রাজ্যের টেলিকম ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার ৪জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ থাকবে।