টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশের সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা শনিবার দিল্লি আসছেন। গত বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শেষে কাদের বলেন, “শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে যাবার কথা ছিল কিন্তু তিনি শনিবার দিল্লি রওনা হবেন।” শনিবার বেলা ১১টায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন হাসিনা। নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আগামী ১০ জুন দেশে ফিরবেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ নেবেন। এরআগে মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বুধবার এক বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বে এনডিএ এর নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই।” তৃতীয় মেয়াদে নতুন করে জনগণের রায় নিয়ে মোদীর এ নবযাত্রায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
এদিকে ভারত সফরের পরেই বেজিং যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে চলতি মাসে আরও একবার ভারত সফরে আসতে পারেন হাসিনা। এরপরেই চিন সফরে যাবেন তিনি। বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ২১ ও ২২ জুন সরকারি সফরে নয়াদিল্লি আতে পারেন এবং তিনি ৯-১২ জুলাই বেজিং সফর করবেন।
গত জানুয়ারিতে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্বাচনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত জোরদার করার আশা প্রকাশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও শেখ হাসিনার মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের সময় হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ অতিথি দেশ ছিল।
শেখ হাসিনাকে জুলাইয়ে চিন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিনে এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। সে কারণে হাসিনার জন্য চিন সফরও গুরুত্বপূর্ণ।