হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিংসার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর সেখানকার প্রশাসন হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার পর এবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছে। হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছে। চট্টগ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে ভারত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টকে ঘিরে গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তা বাহিনী হিন্দুদের বিরুদ্ধে একতরফা তৎপরতা শুরু করেছিল। প্রথমে হাজারী গলি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার নিন্দা
কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আপনারা আমাদের মন্তব্য দেখেছেন। আমরা ব্রাম্পটনের মন্দিরে হামলার নিন্দা জানাই। আমরা কানাডা সরকারের কাছেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। যারা এই হিংসার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা আশা করি কানাডা সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সেখানে হিন্দুরা মৌলিক নিরাপত্তা পাচ্ছেন না, যা উদ্বেগের বিষয়।'
তিনি বলেন, কানাডায় আমাদের একটি বড় প্রবাসী দল রয়েছে। আমরা সেই ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতেও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে থাকব। এই সময়, রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন যে ভারত আফগানিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ইরানের চাবাহার বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে।
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে কী বলল বিদেশ মন্ত্রক?
ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব একটি বিশেষ এবং বহুমাত্রিক অংশীদারিত্ব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গতকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে তিনি 'এক্স'-এ অভিনন্দন বার্তাও পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন যে আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ, যেমনটি তিনি এর আগেও করেছিলেন। ভারত-আমেরিকা বৈশ্বিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও ব্যাপক ভাবে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।